এক নদীর-ই ধারা
ঢেউ খেলিয়া ছলাৎ-ছলাৎ, চলছে ভাঙা চাড়া
এমন-ই করে চলছে দেখো,এক নদীর-ই ধারা
আমরা দুজন দুই হব না, হব না পথ হারা॥
এক্কা দোক্কা কানামাছি, খেলব দুজন মিলে
উড়ব দুজন নীলাকাশে, মনের ডানা খুলে
হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে ভেসে, দেখব ভাঙা গড়া॥
মৃত্যু এসে কেড়ে নিলে, পাব না তো ভয়
যুগলবন্দি হয়ে দুজন, ভয়কে করব জয়
নীল জোছনায় লাল হয়েও,হব না অধরা॥
ঘুড়ি ও লাটাই
তুমি আমায় লাটাই বানাও, আমি ওড়াই ঘুড়ি।
এক-আকাশে তুমি আমি উড়ি॥
শূন্যে উড়ি শূন্যে ঘুড়ি,লাটাই তোমার হাতে।
আমি একা উড়ি না তো,থাকো তুমি সাথে।
উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে, অথই সাগর দেই পাড়ি॥
এক-আকাশে তুমি আমি উড়ি॥
তোমার সাথে সাঁঝ প্রভাতে, উড়ছি সারি সারি।
দুজন হাওয়ায় ভেসে গিয়ে, চলছি আড়াআড়ি।
সেই ভুবনের ঘুড়ি লাটাই,শূন্যে বাঁধে বাড়ি॥
এক-আকাশে তুমি আমি উড়ি॥
প্রজাপতি
কষ্টগুলো নষ্ট করো রঙিন প্রজাপতি
ভর দুপুরে রোদ পুকুরে, ভাসবে মধুমতি।
কষ্টগুলো নষ্ট করো রঙিন প্রজাপতি॥
ধানসিঁড়ি আর ভাগিরথি, গঙ্গা মোহনায়।
নায়াগ্রাতে ভাসাও তরী,মেঘনা যমুনায়।
সে কি নিচ্ছে ফুলের ঘ্রাণ ?
ভাঙছে একা মধুর চাকা, উজাড় করে প্রাণ।
নিজেকে পুড়িয়ে মোম, নিজের করে ক্ষতি।
কষ্টগুলো নষ্ট করো রঙিন প্রজাপতি॥
মমির চোখে ফারাও দেখে, নীল নদে বন্যা।
বইছে দেখি গিরিখাদে, পাহাড়ি ঝর্ণা।
তারে চিনতে কি কেউ পারে?
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে, জলের সন্তরণে।
তৃষ্ণা মেটায় চাতক পাখি,এলোমেলো গতি।
কষ্টগুলো নষ্ট করো রঙিন প্রজাপতি॥