চশমা
জীবনের কাছে আর কত ছোট হবে?
ছোট হতে হতে দেখো
একটা বিন্দুর মতো কালো এবং দৃশ্যান্তর হয়ে
পড়েছো। চশমা ছাড়া তোমাকে আর খুঁজেই
পাওয়া যায় না।
চশমা আমাকে স্বচ্ছতা দেয়।
চশমার ভেতর থেকে থেকে তুমিও
বিন্দু থেকে বৃত্ত হয়ে ওঠো।
পেন্ডুলাম
আজ সারাদিন রক্তের ক্রমবর্ধিষ্ণু চাপে
মৃত্যুময় উল্লম্ফনে—ঘুমবড়ির প্রলোভনে
ঘড়ির কাঁটার মতো নিঃসঙ্গ চলেছি ।
নিঃসঙ্গ বলি কেন—
তুমি চললেইতো আমার গতি…
তবু একথা তো সত্যি যোজন যোজন ঘুরেও
আমরা একই ভূতলে দাঁড়াতে পারি না।
বহুরৈখিক ভূতল থেকে বাড়িয়ে দেওয়া
তোমার করতলে—
আমি এক মোহময় পাখি
পেন্ডুলাম—
আদিগন্ত ব্যাপে তোমাকেই কেন্দ্র করে
ডানে বাঁয়ে ডানে বাঁয়ে
অনিঃশেষ খেলার সরঞ্জাম।
ব্রিজঘাটা
ব্রিজঘাটার জলের দিকে তাকিয়ে তুমি বলেছিলে
র নামমৃত্যু এক অনন্ত নদী
মাছের চকচকে চোখ আর আঁশটে গন্ধময়
সূর্যাস্তের রঙে আঁকা একফালি তরল
তরমুজ বলে কর্ণফুলীকে পান করতে চেয়েছিলে।
আজ
কাটা তরমুজ থেকে গড়িয়ে পড়া
লাল বেদনাবিন্দুগুলো হিমায়িত
বুকের ভেতর।
শঠতার চোরাবালি গেঁথে আছে সাম্পাননোঙ্গর
সমুদ্রের নুন ঠোঁটে ডেকে যায়
ধবল মরাল। অন্তিম আলোর ভেতর
রিরংসার মেঘ থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টির মতো
তুমি আজ ন্যাতানো ইলিশ
পতেঙ্গা ডানেই আছে বামে আজও দেয়াং পাহাড়
তুমি আছো আমি আছি নেই শুধু আমরা দুজন—
তবু
চিতই পিঠার মতো থম ধরা মেঘ উড়ে এলে
সমুদ্রে যেতে বড় সাধ হয়।