পুষ্পিত প্রশ্নগুলো
পুষ্পিত প্রশ্নগুলো উড়ে যাচ্ছে
বায়ূবীয় বাতাসের দেশে।
ফিরে আসবে তীব্র তীর হয়ে, হয়তো
হিংস্র পাখি!
তখন মায়ের দোয়া,
মমতা, সুবেহ সাদেক, সুপারিশ—
আয়তুল কুরসি কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।
শীলাবৃষ্টি নষ্ট করে দেবে নকশি-কাঁথা।
সুন্নতসমুহ
বৃষ্টির ফুল, বৃষ্টির জল স্পর্শ করা সুন্নত।
এই রহমতের জল স্পর্শ করতে চাই!
সুন্নতে খৎনা থেকে প্রতিটি পবিত্র সুন্নত
পালন করতে করতে বৃষ্টির জল হতে চাই!
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর সেবা কর্তব্য
যখনই ‘বাকুম, বাকুম’ ডাকিবে,
চাহিবা মাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে।
হতে হবে—লাউলতার মতো নম্র বিনীত
বৃষ্টির মতো অনুগত।
কিন্তু তোমরা অতিরিক্ত লা’নত করো, অবাধ্য—
নারী তুমি নরকের আজাবে হবে আগুনের খাদ্য!
পুরুষকে করেছ হেলাফেলা, অবহেলা
ফেরেস্তাকে ভুলে হয়েছ শয়তানের আদর্শ চেলা!
বাসায়, ভাষায় এ কী আচরণ! মেয়েমানুষি করো ব্যক্ত
শয্যা থেকে হবে বহিষ্কার, পরিত্যাক্ত!
‘দ্বিতীয় প্রভু’কে সেজদা নয়; স্থাবর-অস্থাবর সব করে দাও উৎসর্গ,
নইলে প্রহার, নইলে তালাক, নইলে খবর আছে; খর্গ!
শুদ্ধ এবং সংশোধিত হয়ে করো পবিত্র স্নান
দাম্পত্য জীবনে সেবিকার মতো হও পুণ্যবান।
হে বিবিবৃন্দ, হে বিবিগণ—
কেন এত দ্বিধা-ধন্দ্ব, কেন অস্থির মন
কেন করছ—অমার্জনীয় কবিরা গুনা!
নও পদ্মার তরতাজা রূপালি ইলিশ, তোমরা তো নোনা!
ছড়িয়ে দাও আদিম ঘ্রাণ।
তোমরা পুরনো মিথ, নীল ভোমরের প্রাণ—
হতে হবে আরও আরও আরও নমণীয় দাসীতুল্য আদি
বিবি খাদিজা-বিবি আয়শাদের গুণাবলির মতো অতুলনীয়, আদর্শবাদী।
আমিই জান্নাত, আমিই তোমাদের জাহান্নাম
ভুলে যাও বিশেষ্য, বিশেষণ, অব্যয়, ক্রিয়া, সর্বনাম।
প্রতিবাদ, নারীবাদ বাদ দাও; করো না অযথা হৈচৈ
আমাজন থেকে কিনে আনো বই,
পাঠ করো—‘স্বামীর প্রতি স্ত্রীর সেবা কর্তব্য’!
তোমাদের প্রতিটি কথা, প্রতিটি কাজ ধর্তব্য!
সারাক্ষণ—
ইকরা অর্থাৎ পাঠ করো—বিধি, বিধান, ব্যাকরণ।
পতিই মূলত মকর,
পাঠ করো—কাশেম বিন আবু বকর।
বেয়াদবির কত যে খুচরা পাপ জমা—
হচ্ছে। কিন্তু পাবে না মাফ-ক্ষমা।
কোথায় যাবে? কোনো পথ খোলা নেই, যাত্রা নাস্তি
জায়েজ পিটুনি-প্রহার এবং তারপর তালাকযোগ্য শাস্তি!