ঈগল পয়েন্ট
ভয় ও ঢেউয়ের উচ্চতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে
আমি এসে দাঁড়ালাম ঈগল পয়েন্টে
অসংখ্য পাখা-ঠোঁট-রঙ উড়েছিল
এখনও উড়ছে মায়াময় রোদের গায়ে
একটি আনন্দ বেজে উঠল ভৈরবী বুকে
আমি বাইনোকুলার রহস্য খুঁজতেই
নাসিক্য ধ্বনির আওয়াজে জেগে উঠল
দূর-লাঙ্গকাওয়ির দ্বীপ-সীমানা…
আমি পকেট-ভর্তি মুদ্রার অহংকার নিয়েই থাকি তবে
মনগ্রোব
ঘুমের তলানি থেকে
নাকেরা শ্বাস নিয়েছিল মধ্যরাতে
একটি শাড়ির ভাঁজ থেকে
পড়ন্ত চাবির ঝনাৎ শব্দের মতো
রব করেছিল কুয়াতলার কলসি
ঘুমের সাথে মধ্যরাতের
শাড়ির সাথে কলসির
সম্পর্ক আবিষ্কারে আমরা নেমে পড়ি
শ্বাস ও শব্দ-জলে
মেয়েরা সারি সারি দাঁড়িয়ে
খুলে দিয়েছিল চাবির মতো নাভির রিং
আন্দামানের অন্ধকারে আমরা
বণিক ও নাবিকের শেষ আকাঙ্ক্ষার ডানা দেখেছি
পান্তাভাত ও টুইটার
পান্তাভাতের পানি খেয়ে একদিন
আমরা হ্যাজাক বাতির আসর খুঁজে ছিলাম
ব্যতিক্রমী চাঁদ পড়েছিল মেঘের ছায়ায়
গাভির উলানগুলো পড়েছিল ঘাসের গহ্বরে
দিক-বিদিক তোমার ছুটে যাওয়ার মতো
অস্থিরতার আলোয় আমরা ছিটকে পড়েছিলাম
ঢোল মানিকের সবুজ পাতার গল্প
আজও আমাদের লাল চোখে লেগে আছে
আমরা সন্ধ্যা-তারার গল্পও শুনেছি, তখন
বুবুর বুকে ফুটে থাকত কাঙ্ক্ষিত পুরুষের ইশারা
আমাদের সন্ধ্যাগুলো ছিল—ডালিম পাতার মতো
যেমন তোমার চুলের বেণি দুলতো সন্ধ্যার ছায়ায়
মাধবিকে আমরা চিনেছিলাম নদীঘাটের বারান্দায়
পিছন ফিরে না তাকিয়ে চলো আমরা টুইটারে গল্প বুনি