শিপন শাড়ি
নীল শিপন শাড়ি
তোমাকে পেঁচিয়ে সমুদ্রের দিকে ছুটে চলে
শরীরের কোথাও
দ্বীপ, পাহাড় আর উত্তাল নদী
তুমি কাছে এলেই
আমি ঝর্ণার জল—সমুদ্রে অবগাহন করি!
বাঘ
ডোরাকাটা শার্ট পরে
বালিকা বিদ্যালয়ের কাছে দাঁড়ালেই
আমার দুটো হাত
. পা হয়ে ওঠে
চার পায়ে লেজ তুলে
আমি প্রায়শই লাফিয়ে উঠি
রূপান্তর
রোডক্রসিংয়ে এসে
কয়েকটা জেব্রা
কালো পিচের পিঠে শুয়ে থাকে
বনের ভেতরে পিচপথ
এখন মহানগরের দখলে
কালো রাস্তা, সাদা দাগ
কালো রাস্তার বুক চিরে ছুটে চলা সাদা দাগ;
সে দাগে মিশে আছে কোটি শ্রমিকের হাত
শোষণের কথা যত লেখা আছে সাদা দাগে!
পাতার মানচিত্র
পাতায় পাতায়
জঙ্গলের মানচিত্র আঁকা
নিরামিষ ভোজী প্রাণীসকলে
পাতা খেয়ে
জঙ্গল রেখেছে দখলে
শঙ্খ
একটা মৃত শঙ্খ রয়েছে
তোমার বুকে
কান পাতলেই
সমুদ্রের ধ্বনি শুনি!
সিদ্ধান্ত
একটা জীবন ধরা থাকে
অনেকগুলো বছরে
একটা গোটা বছর
বারো মাসের বেশি টেকে না
মাসগুলো দিনে
দিনগুলো ক্ষণে
ক্ষণগুলো মুহূর্তে বন্দী
আসলে জীবন
মুহূর্ত ছাড়া কিছু না;
মুহূর্ত একটা আয়না!
জেলখানা
জেলখানার পোষাক কেন ডোরাকাটা?
হলুদ চামড়ায়
কালো দাগ নিয়ে পোষাকগুলো
লোহার গরাদে বাঘের কথা ভাবে
জনঅরণ্যে কতো মানুষ ওরা শিকার করেছে!
যোগী
কাঁটাগুলো যোগী হয়ে বসেছে মাটিতে
ত্রিশূল মাথা তার
লোহার চুলে জমে আছে পুরনো জটে
চামুচের ঠোঁট দু’টো যোগীর কটিদেশ
লোহার আঙুল ত্রিশূলধারিণী
নির্মোহ বেশে যোগী এক
ভোগে ভরা পৃথিবীর একতারায়
অভোগের সুর সাজায়!