বিষাদের বারান্দা
পাখি যে নীড় বানায়
তার মাঝে আবহাওয়াবান্ধব কৌশল
ভালোবাসার বিস্তৃত বিজ্ঞান
. আমরা তার কতটুকু বুঝি,
বাঘের বসতভিটায় সিংহের মুসাফিরি
সিংহ বারান্দায় ঝুলে আরণ্যক আলো অন্ধকার
কেউ আবার মায়াহরীণিচোখে করে অরণ্য ভ্রমণ
চিতার পায়ের ধ্বনি শুনে খোঁজে নিরাপদ আশ্রয়
হায়েনার দল দেখে ভাবে
ডায়নোসরের দল কতটুকু তিব্র ছিল পৃথিবীর পথে
ভাবতে ভাবতে কারও মনে জমে আটলান্টিক শূন্যতা।
পাখি উড়ে উড়ে দেখে আনন্দকীর্তি বিচ্ছিন্ন বিষাদ
জাগতিক কিচ্ছাকাহিনী
পালকে চাঁদের আলো লাগিয়ে
সুর তুলে রাত্রির বুকে
পাখিও যাপন করে অমাবস্যা পূর্ণিমার কালের ঘূর্ণনে
অসামান্য আলোকবর্ষ দূরে আলোর প্রতিফলন…
পাঠ করি প্রস্তরযুগ
প্রস্তরযুগের স্মৃতি ভুলে গেছে যে সকল মানুষের দল
তাদের মগজে জমে বিস্মৃতির তুষার অঞ্চল,
যাদের রয়েছে স্মৃতি মনে-প্রাণে মেহনতি প্রেম ভালোবাসা
তাদের মৃন্ময় আয়নায় ধরা দেয় কেমন ভরসা?
তাদের হৃদয়ে কত প্লেটোনিক ব্যথা
ক্ষণিকের ইউরেনাস গাঁথা
কী নামে ডাকবো তাদের-
তারাও মানুষজন প্রিয় মানুষের
প্রস্তরযুগের স্মৃতি চলমান আধুনিককালে
মানুষ মানুষ থাকে অমানুষ পোড়ে দাবানলে।
মেঘজয়ন্তি-৩০
একলা আমার একলা ভীষণ লাগে
একলা একলা তারার মিছিল দেখি
একলা বনে ভয় যদি পায় বাঘে
একলা একলা আমরা কেমনে থাকি?
একলা পাখি বৃষ্টিতে যদি ভিজে
সূর্য তাকে ঠিকই আলো দেয়
একলা ঘুড়ি স্বপ্ন বুনে কি যে
অন্য ঘুড়ি সত্যি চিনে নেয়।
একলা ভুবনে দিনেও রাতের হাসি
একলা জগতে হৃদ করে আনচান
একলা একলা বিষাদের বরোমাসি
একলা হৃদয় গায় বেদনার গান।
একলা গ্রহ একলা থাকে না মোটে
কক্ষপথে গ্রহের আনাগোনা
একলা দেশের বন্ধুও ঠিক জোটে
পোড়াবাড়ি পোড়ে জেনেও জানো না।
একলা হরিণ খোঁজে-ফেরে হরিণী
একলা সিংহ বসে থাকে না একা
একলা পৃথিবী চাঁদ তার সঙ্গিনী
মেঘ পাবে কবে মেঘবালিকার দেখা।