ভেড়াদল
চারিদিকে পোড়ামাংস
মাছি মারছে কসাই
সবাই কি পোঁকা ধরা ফল?
দণ্ডিতের হাতে তবু রাজকীয় মহিমা
পিপিলিকা নিয়ে ব্যস্ত ফুলপাত আজ
এই পটকাবৃষ্টির দেশে—
কী এক রকম ভয়ে—স্তব্ধ চারদিক
তুমুল হাততালির পরেও তবু দ্যাখো
জমে ওঠে পরিচিত একই ম্যাজিক!
কামুক শামুক
যেকোনো নতুন প্রেমিকার কাছে
পাছে—দোঁ আশলা গন্ধ
ছন্দ নয়—যেন পাকা পেঁপের মতোন ফালি ফালি
খালি প্রাক্তন আহার!
তুমি পৌঁছোবার আগে অন্য কেউ
ফেউ-ক্ষত শুকানোর আগে
দাগে দাগে পূর্বাভাস মিলে যাবে
দেখবে বয়স কমবার সাথে সাথে
রাতে রাতে শারীরিক অঙ্গগুলো
কুলোউড়া ধুলোর মতো শাসাবে বাদ্য
অবাধ্য শরীর…
কামনার বনে তারা ঢেলে দেবে
নেবে কামুক শামুক
কাজুবাদাম
জামের চারটি কচি পাতা লকলক করে
আমার স্মৃতির মাঠে হুড়মুড় করে ঢোকে
কিশোরী প্রেমিকা—তার পায়জানা যোনিঘর
বরাবর ফুঁটো ছিলো—বিকেলের ছায়ামাখা
গোপন কামরা—শরম-গরম হয়ে ওঠে।
সেখানে অবাধ্য শিশুছেলে কি এমন পাপ
করতে পারবে? কেউ ভাবেনি সে কথা।
মমতাজ আইরিন জেসমিন নাসরিন
জান্নাতু খাদিজা মুন্নি রুমা
সবার বাদাম ভাজা খেতে খেতে ভাবি—
গন্ধম কেমন?
উদয় হতেই পারে এ সকল প্রশ্ন!
আমার খুউব প্রিয়—কাজুবাদাম ও কিশমিশ
এবং দুধের সেমাই!
চাঁদ প্রেমিক
চাঁদের নিজের আলো নেই
আমরা তবু জোছনা প্রেমী
আদর্শলিপিতে রাখি আঙুল
পূর্ণিমা পৃষ্ঠায় পাঠ করি—শিশু-চাঁদনী সে রাত
সূর্যের কিলাসে ঢুকে শিখি—
আলো এক নিরপেক্ষ নির্ঘাত নিজস্ব জ্ঞান।
জ্বলতে জ্বলতে যারা শুধুই জ্বালায়
জানে ফুরায়ে যাবার মন্ত্র
তে দিতে শূন্য সেই সকল খোলায় মেতে
পূর্ণবাণে ভরে ওঠে তেজ
নিজ সূত্রে বলে আমি এটুকুই জানি—
সেই থেকে শুধু সূর্যপ্রেমী
তবু প্রেমিকারা কেন চান বলে ডাকে?
বরইফুল
বৃষ্টিতে বরইফুল ভেজে
মৃত্যুর মতোন অসহায় ও উন্মুক্ত
খাঁ খাঁ করছে কাকের বাসা
গোসলে ভীষণ ব্যস্ত—তবু মায়াকাক
বালিকারা বুকে বই চেপে—
ভিজে ভিজে ঘরে ফেরে
দৌড়ায়ে পাঁলায়ে যায়—একটা রোগা-পটকা শিশু
রাস্তাটা মুহূর্তে একা হয়ে পড়ে থাকে!
গড়ায়ে যাওয়া সে জলে—পা ভিজে উঠলে
আমার মনের পটে প্রশ্ন
সব জলই কি—গোলাপজলের বোন?
সেই দূরন্ত ছেলেটি—
ছাদের কার্ণিশ থেকে ছিঁড়েপড়া জলে
সাবান মাখানো মাথাটা এগিয়ে ধরে
আমি দ্রুত ভেসে যেতে দেখি—হাবিব সাবান-ফেনা
মৃত্যুর গতিতে!
বরইফুলের মিত্তু মিত্তু গোন্দ!
এখন রিলাক্সকুল—
আপাত কেউ মৃত্যুর-এ কথা না ভাবি!