০১.
আমি তোমার কক্ষের গোপনাঙ্গ ছুঁয়ে দেব; আর পাহাড়ি বাতাসে মরুর বালিরা খুলে দেবে বুকের ব্লাউজ, উটের উন্মিলিত চোখে সহবাস করবে নীলগিরির বৃক্ষেরা, নদীদের কথায় যারা মোহনার দুঃখ বুঝেছিল; মেঘনার মাথায় এসে আমি তেমনি ইটের খয়েরি খোলস থেকে বের করে এনেছি শামুকের চিবুক; দ্বন্দ্ব তৈরি হয় তোমার গালের চামড়ায়; দুপুরের ঘুমগুলো শুকায়; তুমি বলে ওঠো, ‘আমি শুধু তুলশি পাতায় জলের ভ্রূণ আঁকব’। হে আমার পকেটের অহঙ্কার— তুমি ঝুলে যাও বিস্কিটের উপরিভাগে; বালিশও ঘুমিয়ে আছে মাথার নিচে। নিমগাছ থেকে রাত্রি সরে গেলে, রোদের ন্যাংটো শরীর আমরা দেখতেই থাকব।
০২.
পাখিরা উড়ুক নীল ডানায়। আমি মেপেছি আকাশ; বণিকের ডুবন্ত জাহাজে ওঠে। মরুর বালিরা একদিন উড়েছিল উটের পায়ে পায়ে। লাল মাটির স্পর্শ নিতে তুমিও উড়ে যাও বটেশ্বর গ্রামে। আমার কোনো নন্দিত গ্রাম নেই, আমি পড়ে থাকি মহেঞ্জোদারোর অবশিষ্ট পোড়া পুতুলের মতো। আমার সময়েরা পড়ে আছে ঝাড়খণ্ডের পথে অগ্নিদগ্ধ হয়ে। আমি জানি, বঙ্গপোসাগর তার কোমরে রেখে দিয়েছে ঝড়ের পূর্বাভাস। আন্দামান থেকে আরও একটি গ্রাম ভেসে আসবে মহেশখালীর বাঁকে। এই বাঁক থেকে আকাশ মাপতে তুমিও আসতে চাইবে উয়ারির প্রত্নতত্ত্ব গ্রাম ছেড়ে। এ আসায় ইতিহাসের কোনো দাগ নেই; এ শুধু তোমাদের অভিলাষী মনের খোরাক। পেনাঙের কিনারেও আমি দেখেছি নীল জলের সাঁতার।
০৩.
তোমাদের দাঁতের কোণে; কোনো রাত নামেনি—শুধু বিড়ালের চোখগুলো ডুবে ছিল অন্ধকারে। মানুষেরাও ডুবে যাবে। গল্পের উপমায় আসবে না আর হরিতকি বিকেল। মুদ্রার এক পিঠ বরাবরই রাজাদের ক্রীতদাস। তাই আমরা আহারি সময়ে শৈশবের সিঁড়িগুলো পার করেছি কুমার পাড়ার কুমারির কোমরে। হে শাখা নদী, হে শ্মশানঘাট, হে শিশিরের শুয়ে থাকা—এবার ধানের দানা গর্ভবতী হলে, জোগাড় হবে ভাত পাড়াগাঁওজুড়ে। লোহার পুলের মরচে ধরা খামে, যদি ঝুলে থাকে ইঁদুর; তবে কিশোরের চোখের লাল সেরে যাবে ঢোলমানিকের পাতারসে। নদীরা সব সময়ই সমতলের সুখ। পাহাড়েরা খাড়াখাড়ি নদীর বুক।