পরিত্রাণ ও পুরোনো রুটি
মৃত একটা আয়না!তার পাশে পুরোনো রুটি
যিনি পরিচর্যা, দুঃখভোগ এবং ক্রুশারোহণ করে
মৃত্যুরথে চেপেছিলেন
তার ফিরে আসা হাতের স্পর্শ খুঁজে খুঁজে
রুটিটা শুকিয়ে গেছে।
আয়নায় চোখ রেখে দেখি
ঘোলা চোখে পুনরুত্থানের স্বপ্ন জেগে আছে!
পাথর
প্রাচীন একটা গুহা
সেখানে পাথর মূর্তি হয়ে বসে আছে
কপিলাবস্তুর থেকে আলো জ্বেলে
বোধিজ্ঞান জেনে যায় জীবন দুঃখময়
তারপর প্রজ্ঞাপারমিতায় বসে
আরো কিছু ভিক্ষু
দুঃখবিনাশী পাথর হয়ে ওঠে
নেক্রফেলিয়া
চুম্বন কি জানা ছিল না; ছিল না জীবনে শৃঙ্গার
শুধু প্রহর হলে মিষ্টি গন্ধ; বিকেল হলে উত্তাপ
আশ্চর্য এক তরঙ্গ এসে লাগে পাতায়
ডাল, কাণ্ড, মূলে—দেহপ্রদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
তখন শরীর জ্ঞানশূন্য, ভেদশূন্য হয়ে ওঠে
পঞ্চরিপু স্বর্গের উদ্যানে শরীর পেয়ে যায়
অন্য কিছু নেই স্মৃতিসত্তায়;
ভুলে যায় বৃক্ষ শব্দটি কী অর্থ বহন করে বারবার
ছায়াছাতা খসেপড়ে অঙ্গ থেকে
ক্রোমোজমে স্মরণে থাকা গন্ধ ও ফুল পুরুষ হয়ে ওঠে
কুমারী মেয়েটি সিঁদুর আর ধূপ নিয়ে এলেই
পাতায় পাতায় শিহরণ; শুরু হয় অন্তরঙ্গ সময়
মানুষের পুরনো অভিধানে মহাস্থবির পাদপ আর খুঁজে পাওয়া যায় না;
সে তখন স্বর্গের উদ্যানে স্থানু উন্মুল এক পুরুষ হৃদয়!