তিনটি বকুল
চেয়েছিলে ভালোবেসে তিনটি বকুল
ঘুরে আসি মাঠ-ঘাট-প্রান্তরের রেখা
আলগোছে পুচ্ছ নাড়ে বুকভাঙা কূল।
বৃক্ষের ডালের ফাঁকে এতটুকু দেখা!
তিনটি বকুল মানে তিনটি কবিতা
একটি পরবে তুমি বিনোদ বেণীতে
একটি লুকাবে তুমি ঢালুয়া খোঁপায়
একটি বকুল রেখো শেষ পারানিতে।
কিছুই থাকে না জানি, সব মুছে যায়
বকুলের ঘ্রাণ কিছু পিপাসা জাগায়।
সুরের ছবি
সারাটি দিন গেলো তোমাকে পাব বলে
কিসের অপেক্ষা কতটা বসে থাকা
কেউ কি বুঝবে তা, বোঝার নাই কিছু
কেবল জানি আমি বুকটা কত ফাঁকা।
এ ফাঁকা বুক নিয়ে এসেছি দরোজায়
এঁটেছ খিল তাতে মানিনি কোনো ঝুঁকি
হৃদয় বহমান রক্ত চলাচল
সেখানে আলপনা সুরের আঁকিবুকি।
আছে কি সেই মতো শক্তি কৌশল
সুরের আগমন পারবে খণ্ডাতে?
সুরে তো ফোটে ফুল সবুজ আঙিনায়
এখুনি চলে এসো দুজনে একসাথে।
করুক বঞ্চনা, হবেনা কোনো ক্ষতি
আমার ভাঙা বুকে বইবে মধুমতী!
এখন আমি নিদ্রাহারা
রাত্রি এখন মধ্যযামে, উঠলো বেজে তোমার মুখ
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে দেই গিয়ে সব অসুখ।
এখন আমি জেগেই আছি, এখন আমি নিদ্রাহারা,
চক্ষু মেলে তাকিয়ে থাকি রাত্রিটাকে দিই পাহারা।
কোত্থেকে যে আসলো ভেসে তক্ষকেরই ডাক
কখন থেকেই শুনছি আমি খেকশিয়ালের হাঁক
শেয়াল থাকে আশেপাশে, বেড়ায় হেঁটে লেজ তুলে
একটু তাড়া খেয়েই পালায় মুরগি খাওয়ার লোভ ভুলে।
মধ্যযামে যায় না দেখা, শান্ত ঘুমের মূল চেহারা
নাসিকা গর্জনে আবার কেউ কি এখন জাগায় পাড়া!
সবাই ঘুমুক, রাতবিরেতে আমিই একা থাকব জেগে
এসব শুনে দূরের মানুষ আমার প্রতি থাকুক রেগে!
আমার তাতে কী এসে যায়, সবাই থাকুক যে যার মতো
কেউ কি এসে মুছিয়ে দেবে আমার বুকের গোপন ক্ষত!