একটি ননভেজ কবিতা
অনুপমা যাও, কেন ফের আসো
বোধের দুয়ারে কেন কড়া নাড়ো?
কতটা কাঁপায় অশরীরী ঢেউ,
অনাহারী জিভ টের পায় তারও।
অনাহারী জিভ টের পায় তারও
নিরামিষ নই, বলিনি হারাম;
পৃথিবীতে কেউ নিরামিষ নয়—
নারীরা যেখানে আমিষের নাম।
নারীরা যেখানে আমিষের নাম
খাবার মেন্যুতে তাকে সবে চায়—
খুঁজে দেখো যত নিরামিষ লোক
স্ত্রীর ঠোঁট চেপে সে’ও চুমু খায়!
জ্বরভাগ
অসুখে তোমার পুড়ে যাচ্ছে গা—
যদিও মুখ ফুটে বলছ না
কিছুই। বৈরুতের থার্মোমিটার
মেপে মেপে—একশ চার!
বাইশ মিনিট মৃণ্ময়ী শিখায়
ঝলসিয়ে দু’চোখ—
পুষে রেখেছো বাহারি বিরাগ;
কিংবা তা’না হোক
অন্তত একবার জ্বরজ্বর পায়ে
এসে বুকের করিডোরে হাঁটো;
শোকার্ত চরণের নালিশ এড়িয়ে—
শীতরাতের এক কিলো পথে
আমিও কিছুটা জ্বর
. ভাগাভাগি করে নেই!
নাগরিকের পঙ্ক্তিমালা
কোমর অবধি ঢেকে আছে নাগরিক আগাছায়
রাষ্ট্রীয় দিনলিপি, মৌলিক চাহিদার খাতায়—
এমনকী কোনো কোনো যুবতির স্তন;
লজ্জা ঢাকার জন্য আমাদের কারুরই এখন
গণতান্ত্রিক ধর্ষণ কিংবা পোশাকে আপত্তি নেই!
অভ্যস্ত চোখের সামনে চশমা ধরে তাকালেই
দেখি—স্বদেশ নয় অখণ্ড স্বর্গ, সোনালি ঝলমল
উন্নয়ন পথে একমাত্র দোষী—অপোন্যান্ট দল।
শুনেছিলাম কাকের মাংস খায় না কাকে
জনৈক কবি রেগে বললেন—কে বলেছে তোমাকে
কেবল মানুষেরাই হয় পাচাটা, হুজুগে, অস্থির,
আর কবির প্রশংসা সয় না কখনো অন্য আরেক কবির।
ক্রোধভরে একমুখ ঘৃণার থুতু আকাশে ছিটাই
ঈশ্বর কোথায়? সেখানে কেবল মেঘের বোঝাই
বেদ নয়, গীতা নয়, নয় তথাগত পুরাণ
একমাত্র সেই লোক ভগবানের সমান;
সেই স্বয়ং ভগবান, এখনো জন্ম হয়নি যার—
আজন্ম মুখে মুখে যাকে করে এসেছ প্রচার
যত আদিম বৈশ্বিক মানুষ, আজ ধিক তোমারে ধিক
সভ্যতার শেকল পরে হয়েছো যারা রাষ্ট্রের নাগরিক।