ধুলোর পরাগ: এক
অনেক দূরের পাশে অসামান্য অল্প দূর রাখি
সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে বুনোফুল এতই পরম
পাপড়িও ঝরে যায় নিভৃত বাতাস-বসবাস
আগুন জ্বালে না শুধু ধুলোর পরাগ সামলায়
সেইমতো যাতায়াত বনের পাশেই নিভু বন
অজান্তে নদীতীর বনছায়া জলের হিসাব
ঢেউহীন লেখচিত্র এতই উন্মার্গ উজবুক
অবিশ্রান্ত খেলাধুলো নীরব কথার অপচয়
শুধু এই আঁকিবুঁকি, অযথা হিসাব নিরূপণ
তার চেয়ে বেহিসেবী সময় হে অখণ্ড সময়
ভাঁজে ভাঁজে ফুটে ওঠে নিটোল কমলসম ঢেউ
উর্ণনাভ…পীত জাল…জলের অভাব বোঝো কেউ!
ধুলোর পরাগ: দুই
আনন্দে ঝড়ের মতো বেজে ওঠে সপ্ততন্ত্রীবীণা
মুহূর্মুহু আবর্তন এতটা সোহাগ সাবলীল
ভাবিনি কখনো তাই মৃদুতর ঝঙ্কার নিয়ে
বালির সমুদ্র তীরে জল হয়ে সাধু বসবাস
জলের কথাই যদি অতিকায় সরণনির্ভর
রাতের নক্ষত্র জানে কিছু কিছু নীল বোঝাপড়া
অনিকেত প্রতিদান বীণার সুরের সাথে মিশে
জলের মতোই দ্রুত গড়িয়েছে নিষেধ বিহীন
তবু চলাচল জুড়ে বিলম্বিত একলা আঁধার
নীলাম্বর পাপড়িতে মৃদুমন্দ লেশমাত্র হিম
ক্ষুরধার পৃথিবীর সাবালক রোদটুকু টেনে
আজ আমি একাকার, বালির ভাঁজের মতো ক্ষীণ
ধুলোর পরাগ: তিন
গাছের ডালেতে বাঁধি ঢিল, ফেলে যাওয়া সুতোর সম্বলে
হিসাবের খাতা থেকে দুদ্দাড় পালিয়ে বেড়ায়
অহেতুকী আলাপ-বিলাপ
‘সকলি তোমারি ইচ্ছা…’,
হিসাব-নিকাষটুকু মিটে গেলে দড়ি ছিঁড়ে যাবে
এমনই তো রীতি
কিছুই পাবার নয়
পথটিতে পড়ে থাকা ধুলো দিয়ে
গন্ডুষ পূর্ণ করে নেই বারবার।