ধাতুনির্মিত চোখ
রাস্তা পার হওনি এখনো!
. নদী পার হবে কবে?
নৌকো নেই! সাঁতরিয়ে পার হবে নদী?
তুমিও কি এ-সময়ে হয়েছো বিদ্যাসাগর?
মায়ের নিকটে যাবে! মায়েরই ডাকে!
দমোদর পার হবে সাঁতরিয়ে—
. তা এখন প্রকাশ্যে সম্ভব নয়
এখন তো কত জলযান!
. —তোমাকে তো তুলে নেবে
না হলে আকাশযানও সংকেত পাঠাবে
কে যায় স্পর্ধায়—
. নদীতে সাঁতার!
নিঃশব্দে ও নীরবে পারবে না যেতে
. কোথাও এখন!
চারদিকে ধাতুনির্মিত চোখ
. তাকিয়ে রয়েছে!
সুষমা
তাঁতের কাপড় পরো—নাইলনের কাপড় পরো
গায়ে তা চাপানো
. তোমারই ইচ্ছে! তোমারই স্বাধীনতা!
উপরি বেশবাস বেশ পরিষ্কার ও চকচকে
সাফসুতরো ভালোই করো;
জাঙ্গিয়া ও প্যান্টি
. গেঞ্জি ও পেটিকোট অপরিচ্ছন্ন
. ময়লা ও নোংরা;
ধোয়াপাকলা সেভাবে করো না—
উপরি বেশবাস যতবার ধোপার বাড়িতে যায়
. গোপন বেশবাস ততবার যায়?
আমরা এখন বহিঃমুখী ও পরিশোধিত
. ভেতরে আধোয়া—অশোধিত
. বীজাণু-শাসিত!
বাইরে ডেকোরেশন—
. ক্যাটালগ নিয়ে কতই পরিকল্পনা!
ভেতরে সৌন্দর্য কতটুকু?
. —সুষমামণ্ডিত!
ফলের প্রাচুর্য
স্নেহের প্রলেপ নিয়ে আমিও মসৃণ
. —হয়েছি সেদিন
অপরের পুত্র হয়েও তোমার পুত্রের মতন
ঢাকনা খুলেছি—
আরও প্রশস্ত হয়ে আরও কাছাকাছি
. শিশুগাছ হয়ে উঠি!
তেজপাতার বনে জন্ম নিয়ে
তেজোদীপ্ত হয়ে আমিও ফলশালী হই!
জন্মগত সম্পর্ক না থাকলেও আমিও
তোমার ফলের প্রাচুর্য বাড়াতে পারি!