মুজিব ইরম
বিরহানুরাগ
তোমাকে রাখিয়া আমি ফিরে আসি…
বৃষ্টি হচ্ছে
পাথর পাহাড় ভিজে যাচ্ছে আঢ়মাসী রোদে…
গাছগুলো এতটা সবুজ
মাঠগুলো এতটা অবুঝ
আমাকে দেখেই তারা সিক্ত করে চোখ
আমাকে পেয়েই তারা উষ্ণ করে বুক…
জানি আমি
আমাকে ছাড়াই তুমি ফুলেফলে আছ জানি বেশ
আমাকে ছাড়াই তুমি বেঁধে রেখো হাওনের কেশ…
তোমাকে রাখিয়া আমি ফিরে আসি, আমাকে রাখিয়া আমি ফিরে আসি…
দেহবিজ্ঞান
তোমার মোকামে আমি যাব গো বৈষ্ণবী
গান বাঁধা ভোরে
আমাকে বাজিও তুমি শরীরী সেতারে…
ধুলাতে মিশাই মন
এই মন মিলনে কাতর
বিরহে দ্বিগুণ হয়…
আমাকে জেওর করো
শক্ত করে বেঁধে রেখো বাজুতে তোমার
যেন আমি লেপ্টে থাকি রক্তমাংসময়…
মনেও ধরেছে ভোখ
চোখেও তেমনি
এই ভোখ মিটে যেন মন্দিরার বুলে
ভোরের বেলায়…
তুলে আনি পদ্মশোভা
পুষ্পিত প্রণাম
কোথায় রাখিব আমি
বাড়াও তোমার বাহু, দেহের মোকাম…
আশ্বিনে প্রণীত কার্তিকের কবিতা
তোমাদের ঘাটপাড়ে ফুটেছে কি ছাতিমের ফুল?
আশ্বিনে রাঁধিবে তুমি খেতে যাবো কার্তিকের ভোরে…নিমন্ত্রণ দিও গো আমায়, অধমেরে…পুষ্পবতী ধানগাছ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাবো…ভিজাবো যুগল ঠোঁট ধানগাছে ঘাসে গাছে জমে থাকা কুয়াশার জলে, ছাতিম তলায়…শরীরে মাখাবো রোদ পাঁচফোড়নের ঘ্রাণ।
আশ্বিনের শেষ দিনে পাই যেন ভোজনের ডাক, আগামী শীতের তরে তুলে রাখি দেহের প্রলাপ।