পথে পথে
সাদা পরী উড়ে গেল, গাড়ি তার নীল
কার কাছে যায় সে দেহ ঝিলমিল
দুলে দুলে রাস্তা বট ছায়াহীন
রাত তার আদুরে, ঘুমে ঘুমে দিন
কত হলে
প্রেম মেলে, পথভরা ধূলো;
শরীর সস্তা লাগে যেন শিমুলের তুলো।
বেঈমান রাতগুলো
দু’হাত জল নদীর মাঝে ওপাশে বন একা
সন্ধ্যা আসে সুদূর থেকে রাত্রি হাতে রাখা;
এপাশে পাপ পাথরচাপা মাথায় ওপর চাঁদ
সমান্তরাল সকল সহজ ভালো কেবল খাদ
মুখের কথা জলের মত স্রোতে ভেসে যায়
মানুষেরা মৎস্যগন্ধা, ধরতে গেলে পালায়।
দুপুরবেলার ছাগল
বাড়ির মুখে কদম, তার পাতায় পাতায় ধূলো
মাঠের মধ্যে দুটো ছাগল পালংশাক খাচ্ছিল
আলের পাশে আরাম রোদ বুড়ো এক হারামি
বয়স বাহাত্তরে গেলে যেন অমন হবো আমি
ছাগল-শাকে ভুলে যাবো সকল ব্যবধান
সামর্থ্য যার সর্বব্যাপী —তিনিই সকল খান।
আসো পদ্মফুল
তোমার
সকল গোপন
ভালো, ঈর্ষামুখর রাতে
অগম্য পথ যাক খুলে যাক
আঘাতে আঘাতে,
আসো পদ্মফুল
ওগো জলের গোলাপবন
গিলে ফেলাই ভালো;
শরীর—
ভগবান, এ শরীর বৃন্দাবন।
মরণ জেনে রাস্তা
ফুল ফুটেছে ঠোঁটে, গোলাপ; —মুখে
বিষণ্নতা লাল
কাঁটার গাছে বইতেছে বিষ
সীমিত সম্বল, মানুষ তবু মৃত্যুকামী
মরণ জেনে রাস্তা মাপে প্রাণ বহুগামী।