অন্তর্বাস
যেদিন ব্রহ্মপুত্রের খোলাজল ধুতে দিয়েছিল বুকের বসন
খুলে দিয়েছি তখন অন্তর্বাস, চুলের বিনুনী শরীরের ভাঁজ
খুলে দিলে নদী জেনেছিল হৃদয়ের যাতনা-বিষাদ
শরীরের ভাঁজে জেগে ওঠা চরের বেওয়ারিশ বিলাপ।
তুমি বলেছিলে– ভালোবাসলে নগ্ন হতে দ্বিধা কী?
নিজ হাতে খুলে নিয়েছিলে অন্তর্বাস
খুলে খুলে পড়েছিলে বেদনার দীপাবলি
তারপর আকণ্ঠ তৃষ্ণার জলে বিষাদ এলে চরের
দখলদারি বিপন্ন হলো
এক বনপ্রান্তর ছাড়িয়ে
আরও গ্রাম-নদী-পথ-প্রান্তর পার হলো নদী
মনে পড়ে?
তুমিই বলেছিলে– কেবল ভালোবাসলে নগ্নতায় পাপ নেই!
আমি বিষণ্ন অন্তর্বাসহীন পাপের ঠিকানা জানি না আজও।
সহবাস
চোখের কার্নিশে লেগে থাকে কিছু নোনাজল।
তাতে ভেসে যায় তোমার মুখ।
যে আয়নায় চুল খুলি রোজ,
যেখানে খোঁপায় গুঁজে থাকা ফুল সুরভী ছড়ায়
সেখানে জলেরা টলমল, হায়। তুমি কে? তুমি কে?
জলের ভেতর ভেসে ওঠো! আহা। তুমি জলেই হারাও!
বার বার!জলেই তোমার সঙ্গে নিত্যসুখে বাস।
কে গো তুমি জলের কুমার? কী করে জেনেছ বলো!
সে যে এক মারমেইড।
আধো মানবী আধো জলের তলে অতল সহবাস।