দশ ফর্মার আকাশ
একবার আমরা ভালোবাসার রঙ দেখার জন্য হাতে তুলে
নিয়েছিলাম দশ ফর্মার আকাশ। কিছু আবছা আলোও ছিল
এর মাঝে লুকিয়ে। আমরা ছায়া ডিঙিয়ে অভিনন্দন জানাতে
চেয়েছিলাম প্রেমকে। আর তার জন্য সাজিয়েছিলাম রোদের
আলনা। দুপুরের দু’কোণে বপন করে রেখেছিলাম মেঘবীজ।
মেঘ সেদিন মাটিতে নেমে আসেনি। আসেনি বৃষ্টিও।
তবু যে ঝাউপত্রগুলো ভিজে গিয়েছিল, আমরা আশ্রয়
নিয়েছিলাম ঠিকই তারই নিচে। কাস্তেসমাবেশ শেষ করে
যে কৃষকেরা আমাদের দিকে হাত নেড়েছিল, তারা
জানতো না, আমরা সকল ঘৃণাকে অতিক্রম করার জন্যেই
অনেক কিছু অস্বীকার করে এই ঘাটে এসেছিলাম।
প্রতিবাদের প্রস্তুতিগুলো
প্রতিবাদী হলেই মানুষ হাঁটতে পারে,
দাঁড়াতে পারে। তুলতে পারে হাত-
এবং বলতে পারে, থামো হে! থামাও দুঃশাসন!
ভেঙে ফেলার সাহস পেলেই
মানুষ তাকাতে পারে আকাশের দিকে-
চিনতে পারে সূর্য কিংবা চন্দ্রের শাসন।
রক্তাক্ত হলেই অনুধাবন করা যায়
ফিনকি’র ধ্বনি। যে বসন্তে লুকিয়ে থাকে
চৈত্রের খরা, তাও কিন্তু প্রতিবাদের ভিন্নরঙ।
তর্ককাতর নক্ষত্রের সাথে
জীবন মানেই তর্ককাতর। নিজের সাথে, নক্ষত্রের সাথে।
জলের সাথে জেরা করতে করতে আত্মকথা লিখে
যে জীবন, সেও জানে তর্কের বিধান। কখন জিতে
ওঠা যায়, কখন হতে হয় পরাজিত।
পরাগ মানেই পুষ্পকাতর। স্পর্শের সাথে, সম্পর্কের সাথে।
উড়ে যাওয়া বাষ্পের গতি দেখে যে হিম-
নির্ণয় করে নিজের ভবিষ্যৎ,
সেই এঁকে রাখে নিজের ছবি; বিমূর্ত বিনয়ে
যা একমাত্র শিল্পী ছাড়া আর কেউই দেখতে পারে না।