ভ্রমণ
ঘাসের ওপর উঠে এসেছে রোদ্দুর,
একটি স্নানঘর উড়ে যাচ্ছে হাওয়ায়।
তুমি কয়েকটি দুপুর খুলে নিলে—
আমি একটি সাদা বাড়ির ভেতর ঢুকে যাই।
চোখের ভেতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ভ্রম;
একটা দমকা হাওয়ার সাথে ঘুরে দাঁড়ালাম,
অন্ধগলির ভেতর লুকিয়ে পড়েছে পথ।
পথে যেতে যেতে কি এক অদ্ভুত মানুষের সাথে দেখা!
হাতের তালুতে তিনি নদী ও পাহাড় এঁকেছেন।
পাহাড়ের গন্ধ নিয়ে আমি নদীর গভীরে ডুবে যাই।
কার কথা মনে আসে!
কে আমাকে নিয়ে যায় সন্ধ্যা-মালতীর ঘরে।
ওগো চাঁদ তুমি কেন ডুবে আছ অন্ধ এক শাবরের দেহে!
হালকা হলুদ পাতাগুলো
স্মৃতি চিহ্নের ওপর শুয়ে আছে ডটগুলো,
আমি নগ্ন করে দেখি ক্লেদ আর কান্না—
পৃথিবীর উৎস থেকে উঠে আসা তাপ
আমাকে একটি বরফ চাঁইয়ের ভেতর ডুবিয়ে দেয়।
হালকা হলুদ পাতাগুলোকে সন্ধ্যার জোড়া ঠোঁট ভাবি।
স্মৃতিচিহ্নের ওপর শুয়ে থাকা ডটগুলো এক একটি রাত্রি।
গাঢ় অন্ধকারের ভেতর দিয়ে উঠে আসে কৃষ্ণছায়া—
হালকা হলুদ পাতাগুলো ক্রমশ উজ্জ্বল হলে,
আমরাও একটি পরিত্যক্ত উঠোনে নিমগ্ন হই আর
আমাদের নদীগুলো ডুবে থাকে অনূদিত জোসনার দহনে।