তিলোত্তম এগারো
প্রেসক্লাবের আন্দোলনে গিয়ে কী হবে আর?
দিব্যিই তো চলছে সবকিছু; যেমনই হোক।
বরং আমাদের পান্তাভাতে কতটুকু লবণ লাগবে মেপে নেই চলো,
শুকনো মরিচ পুড়িয়ে মেখে নেব আলতো করে।
যেহেতু ঝাল তোমার অপছন্দ,
খাওয়ার পর ঠোঁটের আরতি থাকবে তোমার ভাগে।
প্রেসক্লাবের আন্দোলনে গিয়ে কী হবে আর?
দিব্যিই তো চলছে সবকিছু; যেমনই হোক।
বরং কথা বলি খানিকক্ষণ,
তোমার বুকে মুখ গুঁজে কতটা ক্লান্তির অবসান হয়েছিল মুটোফোনে স্মৃতিচারণ করি।
তিলোত্তম, কাশ্মীরে যাওয়ার প্ল্যান করলে মন্দ হয় না।
কিংবা রাধারমণের গান ধরি দুজন।
আশীর্বাদ-৪
বাবা গত হয়েছেন সাড়ে পাঁচ বছর হলো।
তাঁর বয়সী কাউকে যখন খুব আদরে হৃদয় বাড়িয়ে দেই
সে বাড়িয়ে দেয় বিকৃত হাত কিংবা ঠোঁট।
আমি আঁৎকে উঠি।
হোক সে বাংলার শিক্ষক কিংবা বড় কবি—
অথবা স্বনামধন্য ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,
সব ভুলে তখন মুখ লুকাই বাবার দেওয়া কিছু স্মৃতির ভাঁজে।
আমি তখন অভিজ্ঞ হয়ে উঠি।
অনায়াসে যার শরীরে শরীর ঘেঁষে শুয়ে থাকতাম শিশুকন্যা হয়ে,
যে আমি কোলে বসে বাবাকে পাঠ করতাম—
অথবা হাতে ধরে নিয়ে যেতাম তাঁর প্রতিষ্ঠানে।
কখনো কোনো পাঠ কেন্দ্রে প্রধান আকর্ষণ হতাম বাবার নেতৃত্বে।
তুমি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছ।
আর তোমার মৃত্যু আমাকে আশীর্বাদ শব্দটি দিয়েছে।
বিপ্লব
প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ নষ্ট করে দিয়েছিলাম একটি গালির জন্য,
আমি এতটাই সুশীল।
প্রিয় ভদ্র মহোদয়গণ,
আপনাদের ভদ্রতা আপনারা বজায় রাখুন—
ওখানে বাংলাদেশ মেরামতের কাজ চলছে।
ভদ্রতা চোদার টাইম নাই।
পুঁটি দিয়ে রাঘব বোয়াল ধরতে চাইলে পিছু কথা আসবেই,
চাইলে রুই ব্যবহার করতে পারিস পুঁটির বদলে।
বিপ্লবে সব ছাইপাঁশ কেবল তোরাই যোদ্ধা,
সাতচল্লিশ বছরের আবর্জনা পরিষ্কারে তোদের স্লোগানই যথেষ্ট।
সফলতা তোদেরই,
সুশীলদের রক্তমাখা একজোড়া জুতো দেখিয়ে বিপ্লব চালিয়ে যা।