আঁধার পায়ে হাঁটি…
এই পৃথিবী ঘুমিয়ে গেলে রাত
আগলে রাখছে ইনসোমনিয়া—
আঁধার পায়ে নিজের কাছে গেলে
জোর সাধনায় একাকিত্ব মেলে।
বিপন্ন শোক চায়ের কাপে ওড়ে
পালিয়ে বেড়ায় দুঃখপালা শ্বাস
অনুভবের শিশির ঝরে গেলে
জোর সাধনায় একাকিত্ব মেলে।
ঘুমকাতুরে দুচোখ জুড়ে ঘোর
আয়নাতে মুখ দেখি অন্ধকারে
মিহিবোধ ধীরপায়ে হেঁটে গেলে
জোর সাধনায় একাকিত্ব মেলে।
বাহানা
নদীর পাশে ধানের জমি
মীনের ছলা জলজ বনে
দূর পাহাড়ে ভাগ্যদোষে
ঘোমটা টানে কিশোরী কনে।
সন্ধ্যা নামে মাঝির গ্রামে
সিঁদুরে মেঘ যায় শহরে
নীলে বাঁচেন মহান কবি
সম্মোহনে, অবুঝ ঘোরে!
পথের পাশে রোদের গাছে
ভর করেছে ঘুম বাহানা
ধানের ছড়া পড়ছে নুয়ে
গাছটা জানে শোক তাহা না।
নিঝুমঘাটে নৌকাবাঁধা
শব্দ কাঁদে আঙুল পুড়ে
ঘুঘুর ডাকে দুপুর কাঁপে
পাল তুলেছি, যাই গো দূরে।
ঝাউবন সন্ধ্যা
নিভু নিভু সন্ধ্যায় বাতাসে
. লেগে থাকে দুঃখদ্যোতনা
এলোমেলো করে দেয় চুল
পরিপাটি করে নেয় ভুল
. কোনো কিছু মন্দ লাগে না।
ঢেউ ঢেউ নদীটায় শাশ্বত
. বয়ে চলে জল অবিরাম
টলমল কথা বুনে বক
ছলছল বাহানার শখ
. ঝাউবন সন্ধ্যারই নাম।
নিভু নিভু সন্ধ্যায় বাতাসে
. জানা হয় কে আপনজন
দুরুদুরু বুকে সুখ বাজে
তিরতির পাহাড়ি আনাজে
. পাখি পাখি হয়ে যায় মন।