হাঁসেরা খুটে খায় পতঙ্গচিৎকার—
কতোকাল আগে দাগ রেখে গেছে
দেয়ালে বানের স্রোত, আর,
ধনুকে কাঁপন তুলে ছুটে গেছে তিরের ভণিতা আমার,
আমি পিছু পিছু গিয়ে মন্দির-ধাবা-গসপেল শেষে
দেখেছি মানুষ গিলে খায় উপাসনা,
চেটে খায় করুণার সকল নিদান!
আর যদি ফিরে আসে বেহুলা ভুবনে
গীতে ও তসবিতে, মানুষই তুলে দেবে সাপের ছোবল তাকে!
রক্তে সাঁতরে ওঠে অযুত ছবি, মায়ের হাঁটার শব্দ;
দ্রুত হয় পালস, যেনো ভাটিয়ালি খুলে উজানে
উঠেছে ঢেউ!
তিথির অঢেল চিরে ঘাসে নামে চাঁদের চক্রব্যুহ!
আমি দেখেছি রঙ্গন ফুলের কাছে এসে
হাওয়া খায় শিশুপায়রা, দোল খায় অমরাবতী;
যার গেছে
অমিয় চাহনী মুছে অশ্রুতে, তার দিকে ছুটে আসে
কাজলরেখার গাথা, নীতি ও নির্মিতি হতে
চোখ তুলে তাকায় রজনী!
ঢালু হয়ে নামছে গগন
যেন এক ছড়ার অন্ত্যমিলে
কাছে এক কাগজের মিল
সারারাত ঝাঁকায় মাথা;
কাছে এক পুরনো গোরস্থান;
মর্চে ধরা সাইকেলে বাজে হর্ন;
কত রাত্রিতে শিশিরে কান পাতে,
বেতগাছে নোয়ানো ডালের পাতা;
কত রাত নিস্তরঙ্গ কাটে,
হারমনি ফিরে পায় শান্ত করোটি;
কেউ কেউ শোনে,
কেউ শুনতে শুনতে ডোবে সঙ্গিনীর ঘুমের শিথানে!
কেউ শোনে প্রখর বাতাস গানে
অতিথির মত চারপাশ দেখে আড়চোখে
যেদিকে ডুবেছে শিশু, মা’র হাত সেদিকে দেখায় কি যে এই
বন্যায় ডুবে শিশুমৃত্যুর দেশে, ঘর ভাঙে, স্বর ভাঙে কারও
নিথর মিছিল শেষে;
যার গেছে অ-ফোটা মুকুল ঝরে
ঘুরে ফিরে আসে তাহার শেকড় ধুলি
এই বন্ধন মেঘে ও মাছের ঘেরে
দিল্ খুলে যে কে, সূক্ষ্ম চর্চা করে
দেখা পাই, দেখা দেয় নাকি সে?