হলুদ পতাকা
সমস্ত ভুলে-যাওয়াগুলোও একদিন
বাড়ি ফিরবে। শুধু তুমি ফিরবে না।
বিরহের হলুদ পতাকা হাতে নিয়ে
দৌড়াবে যুবক,
পাড়ি দেবে সে গোধূলি-টপকানো সেতু,
অথচ কেউই তাঁর কোনো কথা
শুনতে চাইবে না।
তুমি যেখানে পৌঁছুতে চাও
বার বার বলছি, একটা কুকুরই হলো সেই গন্তব্য
তুমি যেখানে পৌঁছুতে চাও,
অথচ তুমি তা বিশ্বাস করছ না।
বার বার বলছি, এমন কিছু ঘটনা আছে
পাগলরাও যা জানে না,
তবু তুমি তা মানতে চাইছ না।
পাখির চোখের মধ্য দিয়ে
আর কত যাব-আসব বলো,
কিছুটা তো বিশ্রাম চাই কাঁটার সমুদ্রে নিজেকে সপে দিয়ে।
কিছুটা উষ্ণতা তোলা থাক তারই জন্য
যে কস্মিনকালেও ছুঁতে পারেনি তার প্রেমাস্পদের হাত।
আফসোস!
শীত-রজনীতে খোলা শরীরই যে প্রকৃত তরবারি
তুমি তা বুঝতে চাইছ না।
তাচ্ছিল্যের দেশে
হিংস্রের ঠোঁটের ভাষা থেকে দু’পা এগোলেই স্বপ্ন
জন্তুর মনের ভাষা থেকে খানিকটা এগোলেই প্রেম।
কারো অশ্রু থেকে বহু দূরে
হৃদয়ের বিষ থেকে খুবই কাছে এই স্বপ্ন আর প্রেম—
রিক্তগোলাপের হয়ে কথা বলে, আমাকে ভাবায়।
এক লালচে পাথর আজ আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে
এক উন্মাদ-শাসিত তাচ্ছিল্যের দেশে;
যেখানে হৃদয় মানে উজানে বয়ে চলা নদী,
কিংবা শিশিরের কোনো অর্থ নেই নপুংসক হাওয়া ছাড়া।
লালচে পাথর আরও আমায় ভাসাতে ভাসাতে নিয়ে চলে
তাচ্ছিল্যের দেশে;
. স্পর্শ থেকে দূরে
. নিঃসঙ্গ ঘটনা থেকে দূরে
যেখানে জীবন হলো বাদুড়ের ঠোঁটে ঝুলে থাকা
কালো
দুটি
চাঁদ।
তবু আমাকে ভাবায় দেখো দূরে থাকা মানুষের পারিজাত-ঘ্রাণ।