তর্কে বহুদূর
যুক্তির নিক্তিতে মাপা রহস্যের জ্বর
অঙ্কুরিত হয় সব উর্বরা মাথায়
সত্যের সন্ধান তাতে দূর পরাহত
তর্কের টেবিলে জল ধূমায়িত কাপে
বাক্যের টঙ্কারে ফোটে বাকের বিলাপ
বাঁকে বাঁকে বাড়ে ভিড় বাক্য বাগীশের
যুক্তির যুগল লতা তর্কের উঠোনে
অস্থির নৃত্যের তালে নিত্য আন্দোলিত
ফুরোয় না ভরসার মাঠ আর মাটি
কেন্দ্র, ব্যাপ্তি আর বৃত্তে এমনি বসবাস।
নিয়ম
পাখিটি বসেই থাকে, ঠায়
দু’ডানা নাচায়
আমের চিকন ডাল আবেশে দোলায়
ঠোঁট মাথা অস্থির নাড়ায়
মা বলতেন, হলদে পাখি
‘গর্বা আনে’—
পাখিটি কি সে আলাপ জানে!
পাশাপাশি থাকি
সুর ভিন্ন ওর ভাষা কোন বোধে রাখি?
কোন বার্তা আর্তস্বরে ঢেলে দেবে কানে?
পাখিটি বসেই থাকে, ঠায়
পূর্বজন্ম ভেসে যায়
চর্যাপদের হরিণী-নায়।
তুমি
অনূদিত কবিতার মতো তুমি
নিজেকে বদল করো হাতে-হাতে
শীতের শিশিরে ভিজে
. ঝরাও পুরানো পাতা
নববসন্তের ঘ্রাণ পেয়ে ফোটাও নতুন কুঁড়ি,
নতুন দিনের রোদ
পিট পেতে নিতে কার ঘটায় ব্যাঘাত!
অনূদিত কবিতার মতো তুমি
রঙিন পাত্রেরই রঙে
যে ডালেই পা রাখো সে ডালের সাইর
শুধু পালকের বর্ণটুকু চুরি হতে সময়ের দেরি
আর সব ঘটে যায় ঘটনার মোড়ে ঘটা ইতর বিশেষ।
অনূদিত কবিতার মতো তুমি
রূপের ঝলক ফোটে অবিশ্বস্ত হলেই কেবল।