দুফোঁটা ভালোবাসা দে
কাঁচা হলুদ দেহ তোর মুখ যেন পেঁপের মতো মসৃণ
তোর ঘ্রাণ শুঁকেশুঁকে বুঁদ হয়ে আছে দুপুরের রোদ
সে আমাকে পোড়ায় ঈর্ষায় পোড়া সতীনের মতো
তবু কি ভুলতে পারি লিপস্টিক খসা দুই ঠোঁট?
এই হৃদয় বন্ধক রাখি যে হাসির বিনিময়ে
জানে না সে বিরহের ঋতু এলে শান্ত হতে হয়—
ভালোবাসার কুঁড়েঘরে বেদনার তালা যেন না লাগে।
সখি, তোর প্রেমে আজ কবি নিজেই কানামাছি
যে হাতড়ে বেড়ায় হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি ও স্বপ্ন—
ফকিরের ভাঙা থালে যদি দু’পয়সা দিতে পারিস
তবে প্রেমিকের ভাঙা মনে দু’ফোঁটা ভালোবাসা দে।
ডুবসাঁতার
মনপোড়া ঘ্রাণ কেবল নাকে আসে না
আসে চাঁদের পরকীয়া মাখা সূর্যগ্রহণ
মনকে মন দিয়ে অনুভব করার বাস্তবতা ভুলেছে সভ্যতা
তাই অনুভূতির বাটখারা আজ দ্বিধায় আক্রান্ত
আর কে যেনো হিংস্রতার দিয়াশলাই জ্বেলে স্বপ্ন পোড়ায়?
আজ বকুলতলায় ঝরে পড়ুক ভালোবাসার ঘ্রাণ
দুটি মন আসুক না আবার ভালোবাসা কুড়াতে
মৌনতার পুকুরে বিরহী মন মাছরাঙা হয়ে বসুক
আবেগের ডালে এসে আবার শিকার করুক রঙিন মন।
বৃষ্টি শেষে চাই না আর রঙধনুর নজরকাড়া বহুরূপী হাসি
আমি তো প্রেমকানা কবি; আমার টিনের চালের মতো মুখে—
বৃষ্টির মতো রিমঝিম বাজুক তোমার চুমুর শিলাবৃষ্টি
লজ্জারাঙা বাঙ্গির মতো ফাটুক না পোয়াতিসময়
ডুবসাঁতারে হোক না এবার মনের শিকার
গোলা ভরা প্রেম
লাউ দিয়ে একতারা বানানোর বদল;
আমি না হয় ভালোবাসার একতারা বানাই সখী আবেগে
যারে সারাক্ষণ বাজাতে পারি সমাজের কঠোর নিয়মে
জীবিকার নিশ্চয়তায় যে তোতা পাখির মতো খাঁচাবন্দি নয়
যে ধূলির নিচে স্বর্গ টেনে জীবিত করতে পারে মনের ডাকে
আবেগের ঘনত্ব ওজন করে না তথাকথিত সময়ের বাটখারায়।
আমি না হয় স্পর্শহীন পবিত্র কদমের মতো কোনো ষোড়শীর খোঁজে
যে জীবনের ষোলটি বর্ষা প্রেমের বৃষ্টিতে না ভিজে কাটিয়ে দিল
সামাজিকতার ছাতা যারে ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভেজার সুযোগ দেয়নি
তাকে না হয় স্বাধীন হতে সাহসের হুইল চেয়ার এগিয়ে দিলাম
দিলাম কাশফুলের মতো হাওয়ায় মাতোয়ারা প্রেমজাগানিয়া বন
যেখানে বাসর না হোক অন্তত নিরাপদ সময় হবে দুটো কথা বলার।
হায়রে কথা;
হৃদয় বিক্রেতা ভ্রমরের ফাঁদে পড়ে, কবি তো কথাই ভুলে গেছে
মনে রেখো, কবিরে যে ভাষা ধার দেবে—গোলা ভরা প্রেম তারই হবে।