সাবালক
কত বছর আগে চুমু খেয়েছ, আজও রক্ত ঝরছে ঠোঁটে।
স্মৃতিসংস্করণে বদলে যাচ্ছে দিগন্তের রঙ। তুমি কার কাছে শিখেছ নিত্য-অনিত্যের খেলা, কোথা থেকে পেয়েছ সময় শাসনের এমন আশ্চর্য শক্তি!
ভালোবাসতে শিখিনি আজও, অথচ ভালোবাসার অপরাধে আমিই কিনা লিটমাস মেঘ! অদৃশ্যের ভেতর দৃশ্যচরাচরে অবিরত বদলে দিচ্ছ আমায়। কেবলই হয়ে যাচ্ছি রক্তরাগের নেশা।
তোমার সঙ্গে দেখাই হলো না আহা, অথচ তোমার চুমুর দাগ বহন করতে করতে আজ এই ঠোঁট এত সাবালক।
ডাকাত
নারে দোস্ত, ডাকাতদলের সাথে আমি নেই
মেয়েদের চোখ টিপুনীতেই কাত হয়ে যাই
তোরা বরং আমাকে ব্যাংকে রেখে
. চেক নিয়ে যা;
অন্তত কাগজ হয়েই বেঁচে থাকি কিছুদিন
রিকোয়েস্ট করিস না প্লিজ
জানিস তো, গত বছর গরমে পকেটে ছুরি নিয়েই
. শীতের পোশাক পরে হেঁটেছি
ডাকাতি! ফুলের দোহাই দোস্ত
বেঁচে থাকলে দেখা হবে সাত-সমুদ্দুর দূরে
পারিস তো পিস্তলটা রেখে যা,
পাশের বাড়ির মেয়েটার আবার
. হাতে নিয়ে পিস্তল দেখার শখ!
হাসির গন্ধ
কোনো কোনো চুম্বন প্রেমিককে ভিখিরি করে দেয়
যারা চুমু খেতে শিখিনি, স্পর্শ করতে শিখিনি প্রজাপতির পাখা,
তারা শুধু জেনেছি চুমুতে দেবতা থাকেন
পথ দেখিয়ে নিয়ে যান ঈশ্বরের বাড়ি
অথচ আমার বন্ধু—যে কিনা একটি চুমুর দায়ে ভিখিরি হয়ে গেল
তাকে দেখে, তার কান্নার নদীতে হেঁটেও আমরা মাতাল হই
পানশালার গ্লাসে ভাসতে দেখি হৃদয়ের অগ্নিরঙা ছবি
তখন কোত্থেকে যেন আমাদের জড়িয়ে ধরে ঝাঁঝাঁর ঘুঙুর
কী কারণে ক্রমাগত আহা, অবাক সৌরভে ডুবে যাই
প্রেমিকার হাসির গন্ধে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাই