চাদর
যে চাদরে শোও!
তা কতটুকু পরিষ্কার? কতটুকু পরিষ্কার রাখো?
নিজে যদি ধোয়াপাকলা না করো
. নিজের যদি বা শক্তি না থাকে,
হেঁটে গিয়ে ময়লা চাদর লন্ড্রিতে দাও।
চাদর পাল্টাও—
এতদিন বিছানায় রাখছ?
. ময়লা জমেনি!
দেখ—বেশি ময়লা জমলে
সেই ময়লা উঠানো কষ্টকর,
. সাধারণ সাবানে তা উঠবে না,
তেমন ডিটারজেন্টও নেই—সাফসুতর হবে দ্রুত।
স্বাস্থ্যসম্মত থাকতে চাইলেও তো
. চাদর পরিষ্কার থাকা চাই,
প্রফুল্ল ও ঝরঝরে থাকতে চাইলেও তো
চাদর পরিষ্কার থাকা চাই!
ময়লা চাদরে শুয়ে থাকার পর—
গরমে একশা হয়ে উঠলে,
ফুসকুড়ি থেকে হবে খোসপাঁচড়া
. হবে আরও ভয়ানক চর্মরোগ!
অপরিচ্ছন্ন ও ময়লা বেশিমাত্রায় হলে
কেউ তোমার চাদরে বসবে না—
. বিমষা তৈরি হবে!
ময়লা চাদর—আতরমাখা করে আর কতদিন চালাবে?
আতুরালয় ও হাসপাতালের চাদরের কী অবস্থা?
ময়লা হলে চাদর ধোও—
বেশি পুরনো হলে—চাদর পাল্টাও!
ঠোকর
একটা সাপ মানুষকে একটার পর একটা ঠোকর দেয়—
একসাথে দশটি ঠোকর দিতে পারে না!
কিন্তু একটা মানুষ
. একটা মানুষকে দশ থেকে একশ’টা ঠোকর
একসাথে দিতে পারে!
সে-কারণে সে সাপের চেয়েও ভয়ংকর—
. সে গাণিতিক ও জ্যামিতিক জ্ঞান রাখে,
সাপ শুধু যোগ-বিয়োগ জানে!
সাপের লেজে পাড়া দিলে—সাপ ছোবল দেয়,
মানুষ মানুষের হাতে হাত রাখলেও
. —একসাথে হাঁটলেও
কিংবা গলাগলি করে থাকলেও;
কখন যে কী কারণে ঠোকর দেবে
. বুঝতেই পারবে না!
মানুষ কপট বেশ নিয়ে ছলনায়
গলা খাঁকার দিয়ে বোঝাবে—বুকে কফ জমেছে,
কিন্তু জমেছে প্রতিহিংসাপরায়ণতার শ্লেষ্মা—
. জানতেই পারবে না।
সাপের বিষ—তার বিষথলিতে থাকে
মানুষের বিষ কোথায় না থাকে!
অচেনা মানুষ
তুমি তো এখনো অচিনপুরের অচেনা মানুষ
চিনিনি খানিক এখনো তোমাকে!
রহস্যপুর! কর্পূর হয়ে যেন উড়ে যাও!
এক বইয়ের এক প্রচ্ছদ! তোমার অনেক!
নদ ও নদীতে কত নৌকো রাখো! চলে যাও দূর!
এক গানে—কত রকমের সুর!
অচেনা থেকেছো—অচেনা তোমার কত রাজধানী!
দেশও যায় না চেনা! কখন যে বিক্রি ও কেনা—
কখন কোথায় কী পোশাক পরো?
শুধুই চমকে যাই—তোমার কি অবয়ব নাই!