চুম্বক আবিষ্কারের ইতিহাস
চুমুর দৈর্ঘ্য মেপে উড়ে যায় বালকবয়স। আলবিরুনীর
গণিতসূত্রে নেচে ওঠে জাফরানি আনারস
তোমার বুক ম্যাগনেশিয়া অঞ্চল
আমাকে টেনে টেনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে
কিভাবে ভুলে যাবো চুম্বক আবিষ্কারের ইতিহাস?
নবম শ্রেণীতে প্রথম চুমুর বিনিময়ে চুম্বকের আবিষ্কার
সবল-স্বাস্থ্যের শহরে দেড় শ ডিগ্রি তাপের ধারাপাত
ঠোঁটের ডগায় রেখে
বৃত্তের মডেল দেখালে তোমার শরীরে এঁকে
তারপর বুঝালে চুম্বকশক্তি চুমুর তরলে কতটা জ্বলে
জ্বলতে জ্বলতে কত ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে টানে
ও মহল্লার বড়দি পিথাগোরাসের উপপাদ্য বুঝতে গিয়ে
. তোমার কাছেই প্রথম শিখলাম—বৃত্ত থেকে বিন্দু বড়
সেদিন যদি স্বীকার করতাম, তবে কি জোছনার ভেতর
গলে পড়ত আস্ত ডালিমের নেশা?
জাদুকর
গতজন্মের আগেই
আমার ভবিষৎ হারিয়ে এসেছি ঈশ্বর
এই কঙ্কালসমেত হাড়গোড়ের ভেতর যাকে
দেখতে পাচ্ছেন—সে এক দার্শনিক!
গতজন্মে যার মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল!
আপনার সার্কাসবিষয়ক গবেষণায়
তাই, এইজন্মে
একজন জাদুকর হয়ে এসেছি
মিথ্যে আর লোভ দেখিয়ে
মানুষকে অন্ধ করে দেব বলে
পাপ নেবেন না ঈশ্বর
এবার আপনার মতো ভেলকি ছড়াব
কয়েক টুকরো সঙ্গীত!
চোখ
এইবার মৃত্যুর চোখ ঘুরিয়ে দেবো মৃত্যুর দিকে
মৃত্যু মরে যাবে
হেমলকের সূর্যতরুণ কাপের তরলে
থরথর করে কাঁপতে থাকবে মৃত্যু
আর আমি সূর্যের পরিধি মেপে
রায়েরবাজার বধ্যভূমির অতল থেকে তুলে আনব
মৃত্যুর প্রতি অঢেল করুণা
অমরত্বের গান
ক্যালকুলেশন
তোমার সামনে একটি গ্লাস, অর্ধেক সুখের—অর্ধেক দুখের
এখন ভাবো, গ্লাসের কোন্ অংশের খরচ তুমি বেশি করছ
মানুষ হেরে যেতে যেতে একদিন জয়ী হয়
জয়ী হতে হতে আবার হেরে যায়
এইবার বলো, গ্লাসের কোন্ অংশ তুমি তুলে রাখছ
শেষ জীবনের জন্য!
উত্তরাধিকার
মাথায় নিয়ে হাঁটছি কামের বোঝা
অসংখ্য জমি ক্ষেত পাড়ি দিয়ে
এক ইঞ্চিও নামাইনি কোথাও—এই তৃষ্ণা
অন্ধকার শরীর সাঁতরে
জেগে আছে চাঁদের পুরুষ
আমার উত্তরাধিকার!
বিশ্বাস
একটি সত্য বিশ্বাসের চেয়ে সুন্দর আর ঘনতর কিছু নেই
এ রকম এক বিশ্বাসে অস্থির করে তোলো
আমার ভেতর বাহির
. কঠিন থেকে সৌন্দর্যে
. ধ্বংস থেকে স্বপ্নে
. মৃত্যু থেকে জীবনে
জন্ম
সুদূর দরজা ঘেঁষে যে বিষ অমৃত হলো
যে যাত্রা মহা-মহাকর্ষের দিকে
গ্রহ থেকে আরও দূর—অন্ধকারে
. বিজলি ছড়ালো
তীব্রতর সেই শূন্যের বিকিরণে
বিম্বিত মাটির উপর শিকড় ছড়ানো
. আমি এক মানুষজন্ম!
মানুষ
মানুষ স্বভাবতই শিকারি
এখন মানুষ একা—কৌশলী
এই কৌশলী পৃথিবীতে যারা অকৌশলী
তারা মৃত!