নৈঃশব্দ্য
কথা ফেলার ডাস্টবিন নেই কোথাও। যেখানেই থুথু ফেলি সেখানেই মক্কা-মদিনা। পীর-মাশায়েখ মানুষ। অথচ পর্দা খোলার পর দেখি কেবলামুখী শয়তান। আমি শয়তানের আড়তে কাঁচামাল। প্রতিদিন বিক্রি হই কম দামে বাতুল সময়ে। শ্রম ও শ্রমিকেরা এখনো ঘুমায় নিঃশব্দে।
হতাশা
সম্ভবত মায়ের দুঃখভূমির নাম বাংলাদেশ
যে জন্ম দিতে পারে ব্যর্থ সন্তান;
বাংলাদেশ একদিন ইউরোপ এবং আমেরিকা ঘুরতে গিয়ে-
সদরমহলে শুয়ে ভাবে—
আমিও ডাকু ডাকাত ছিলাম।
আটই ফালগুনের কথা মনে পড়ে
ফেব্রুয়ারি এলেই আমার মন খারাপ হতে থাকে। চোখের কোণায় চিকচিক করে মরুবালি। গুমোট বাতাস বয়ে যায় শূন্য বরাবর। সূর্যশক্তি কমে আসে মৃতপ্রায় মানুষের মতো। কেঁদে ওঠে মাটির বুক। পায়ের তল ভিজে যায় লাল লবণ জলে; পূর্ণ হতে থাকে শূন্য পুকুর। কৃষকের ফসলি জমিতে বেজে ওঠে করুণ রাগিনী।
আটই ফালগুন এলে আমি আরো অস্থির অসহায় হয়ে যাই ভেতরে ভেতরে। তুমুল আন্দোলনের মধ্যে নিজেকে সংযত করতে ব্যর্থ। কিন্তু, কেউ বলেনি কি হয়েছিল সেদিন। আটই ফালগুনের সাথে আমার কী সম্পর্ক জানি না। শরীরের প্রতিটি অঙ্গে ব্যথা বাড়তে থাকলে-মা জব্বার জব্বার বলে ডাক দেন। মেমোরি রি-লোড হতে থাকে—এক আটই ফালগুন ফারুক ভাইয়ের কেনা পত্রিকার হেডলাইন দেখেছিলাম, ‘পুলিশের গুলিতে জব্বার ঢলে পড়ে।’