জন্ম, মৃত্যু ও কবর
মাতাল হওয়ার পর লোকটি ঘুমাতে যায়। ঘুমাতে ঘুমাতে নিঃশ্বাস হাল্কা হয়ে আসে। ঘরের সিলিংয়ে উড়তে থাকা বেলুন ছোট হয়ে যায়৷ ঠক ঠক ঠক। ঘড়ির কাঁটা থেমে যাচ্ছে। জেলখানার কথা মনে পড়ছে৷ একটি ঘর -জানলা নেই, তালাবদ্ধ; ভয় করছে৷ হাজারবার মৃত্যুর কথা ভেবে জন্ম নিতে চাইছে একবার৷
লোকটি মরে গেলো৷ শূন্য বেলুন। নিথর ঘড়ি। শব্দ নেই—নিশ্চুপ৷ বাবা কাঁদছে, মাও! শুনতে পাচ্ছে না। যেন প্রদর্শনীতে সাজানো একটি মূর্তি-তাকিয়ে আছে শত চোখ। আত্মা নেই, অনুভূতিহীন৷
হাত
মেলে ধরা হাত কথা বলে
ক্ষুধার্ত ভিখারীর হাতের মতো…
দ্যাখি—
জীবনের রাস্তায় মোড়ে মোড়ে হাতের পাঁচিল
বসে থাকি
থেমে থাকি
বেঁচে থাকি
এ হাত নিয়ে কোন দিকে যাই?
শত সহস্র হাত; কেবল প্রবোধময় হাতের অভাব৷
প্রেম
বুকের ওপর সাত টন পাথর নিয়ে
শুয়ে আছি নরকের বিছানায়
ব্যথা ভুলতে গিয়ে স্বপ্ন দেখি
যুদ্ধের বদলে লিখি ইতিহাস
আদতে ব্যথা কি ভোলা যায়?
সে তো প্রজনন উপযোগী বীর্যের মতোন
নিষিক্ত মনে তীব্রতা চায়।