অন্বেষণ
এক.
স্বভাবধর্মেই লিখি শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ,
কেঁপে ওঠে শ্রীল ও শ্রী-হরি;
হরিবোল গীত হলে—
গৃহস্বামী স্পর্শ করে না কাউকে;
লৌহমরিচায় শুধু অবুঝের মতো
বলকে ওঠে বন্ধুত্বের স্পর্ধা
আর অর্ধস্ফুট—দূর্বাদলধ্বনি—
দুই.
হেই সুদূরতা, তোমার ভেতর
গড়ে ওঠা মানসাঙ্কে তুমুল খ্যাতি,
চিরদিন, চিরকাল—
জেদি খরগোশ হয়ে খুঁটে খায়
অঘ্রাণের পরিত্যক্ত ধান!
জতুগৃহের ভস্ম
মধু খেতে গিয়ে মৌমাছির প্রশ্ন মনে ধরেছিল একবার
: আলো নিভে গেছে জতুগৃহে?
উত্তর ছিল না, শুধু উৎসপর্বে ব্যঞ্জনাময় অরণ্যযাপন দেখেছি;
সমাজ সংস্কারে যুগে যুগে নেমেছে যারা অতলান্তে
তাদের শ্রমের ভাস্কর্য ফিকে কেন পৃথিবীতে—ভেবেছি সে কথা-ও!
মৌচাকের শৈল্পিক বুননের মতোই যদি জীবন, সভ্যতা
অন্ধের হাতে কেন বিচারের ভার ঘুরে ফিরে শোভা পায়!
মধু খেতে গিয়ে মৌমাছির প্রশ্ন মনে ধরেছিল খুব
আজও ভাবি, জতুগৃহের ভস্মে কোন শিক্ষা ছিল তবে!