ছবির হাট
রাতের দহন: পোড়ো, ভস্মের ভিতরে চাও খয়েরি পালক।
আমি ঝিমঝাম চিন্তা-শামুক, আকাশ তাকিয়ে দেখে।
খোলা পার্ক: তোমাদের কামনা গিটারের তাম্রজীবনে খোলস রাখেনি।
গোলক মালায় ধোঁয়ার শরীরে কত মুখরতা…
আমরা তো সেইসব পিপীলিকা ডানার সংগ্রামে সমবেত হই।
নাইটগার্ড
নাইটগার্ড গাঁজা খায়।
কু-লি পাঁকিয়ে ওঠে তার চারুক্লান্তি
যেন সে একটি বিন্দু, নিষ্পন্ন জীবন
সরল রেখায় টেনে টেনে
. অসীম অন্তিমে রাজপথ হয়ে গেছে।
তার দুঃখ চাঁদের চোখের জল,
ছড়ায় দারুণ অর্ঘ্য-নিরাময়।
ঘুমের চক্রান্ত ঘোঁচে; আর
আকাশে তারার বিজ্ঞাপন দেখে বুঝে ফেলি
লৌহ-জং-ধরা আমাদের মন ধাতব রঙের, তবু জোছনাকাতর।
একজন নাইটগার্ড ছড়ি হাতে তাকেই শাসন করে রাতভর।
নিঝুম স্বাস্থ্যের এই প্রোজ্জ্বল দ্যুতিকে
. মানুষ বানালো কে? কে তার অন্তর্লোক?.
জ্যামিতি
নিজেকেই ছড়িয়ে ছড়িয়ে গেলে, ছাড়িয়ে গেলে না।
আর ছায়া, যাকেই সন্তুষ্টি দাও
অন্তিম মুহূর্তে ঠিক কলজে টানার মতো
অমর লজ্জায় এসে বললে,
. লাটিম প্রীতির ঘূর্ণি নিয়ে
. এসেছি গরম সখ্য। দাহ, ফিরিয়ে নেবে না?
এই জল-কৌণিক উত্তাপ নিয়ে
. আমাদের ব্যাধি— সাঁতার অথবা অগ্নি-হাসি।
বর্ষার জ্যামিতি আগুনের চুল ধরে টানে।
জীবন তাহলে আঁকি-বুকি।
আগুন স্বর্ণালী খাতা? নিয়তি পেন্সিল?
.
জঠর
মায়ের জঠরে এক পুষ্পগোপনতা:
যখন ঝরতে থাকে গন্ধের বৃষ্টিতে
. ভিজে যায় অনঙ্গ সংসার।
তবু মর্মপাথরের বিষণ্ন কঙ্কাল
অন্ধ জাতকের মতো ছুড়ে দিলে
তিনিও ভেজেন, যেন কান্নাশকুনের
শাণিত ঠোঁটের পাশে বেদনার সাদা দুধ জমা হলে
আমি এক স্তন্যঘেরা নির্ভয় সন্তান—
. ফুলমোহনার ঘাসে ঘাসে
তাকে শুধু মাড়িয়ে গেলাম।
ঘুমের পল্লবে তবে কোন স্বপ্ন সঞ্চালনে
সহ্যের সবুজ নিয়ে বসে থাকে মায়ের আঁচল?
ভুলে গিয়ে যাতনার সাংখ্য পরিণাম
পত্রল হৃদয় খুলে তিনিও ডাকেন পাখি: আয় আয়?
যেন কুশপৃথিবীর অশিষ্ট রৌদ্রের ছায়া ফেলে
গান হয়ে ফিরে আসি ডালে ডালে জঠরে তাহার?