চুমু খেলে উড়ে যাবে কার্পাস হয়ে
আগেভাগে বেঁধে নিয়ো পা,
চুমু খাবো।
আগেভাগে বুঝে নিয়ো গা,
চুমু খাবো।
পরে নিয়ো শার্ট, ঢেকে নিয়ো লাজলজ্জা,
আগেভাগে খুঁজে নিয়ো নিজেকে-
চুমু খেলে উড়ে যাবে কার্পাস হয়ে,
হারাবে শার্ট, শরীর, লাজলজ্জা সব!
চুমু খেতে চাই
চোখের দিকে চাইতে গেলেই,
চুমু খেতে চাই-
আর কিছু না, আর কিছু না
চুমু খেতে চাই;
এমন চুমু, মুহূর্তে যা মৃদুকে
করে কলিজা-কাঁপা চিৎকার!
এমন চুমু, বোবা হয়েও যা বলে বেড়ায় মহাকাব্য, মহাগাথা!
বন্ধ চোখেও ঘুরিয়ে দেখায় পৃথিবীজোড়া আনাচ-কানাচ!
যখনই তাকাই
চুমু খেতে চাই,
আর কিছু না
আর কিছু না,
চুমু খেতে চাই।
বিশ্বাসী চুমু
চুমু অন্ধ করে দেয়; এমন এক অন্ধত্ব যা আরও বেশি বেশি দেখায়।
চুমু ভাষাহীন করে; এমন নীরবতা যা আরও বেশি কথা বলায়।
চুমু বধির করে দেয়; এমন বধিরতা যা আরও বেশি বেশি শোনায়।
একমাত্র চুমুই বিশ্বাসী করে তোলে যা ইতোমধ্যে ঠোঁটের ওপর হতে হারিয়েছ!
নোনাজলের ধীবর
বুকের পাঁজরে ছড়িয়েছ শেকড়
নীলাভ-ফুল হয়ে ফুটেছে স্তনবৃন্তে,
অতলে পেতেছ ধীবরের সূক্ষ্ম-জাল
ছড়ানো কামনার্ত-মীনেরা একত্রিত,
নোনাজলের আনন্দরা উদগ্র, চঞ্চল
কী করে দূরে থাকি বলো, প্রজাপতি?
উত্তর
কে ভেবেছে,
এত ছোট কিছু চিরকালীন হয়?
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিছু এত বিশাল হয়?
কে ভেবেছে অপেক্ষায় থেকেছি
এর জন্যেই?
কে জেনেছে চুম্বনেই মিলবে এত উত্তর!