চাষি ও তাকাবি
খালি পায়ে রোজ এসে আমনে কুয়াশা দেখো চাষির নদী
শিশির হয়ে ছোঁয়ার স্বপ্নে তখন কেউ শাদা বক হয়ে যায়…
এত রোদে বোরো খেতে কাকতাড়ুয়ার সখী জমিনজিরাতে
অযথা এলাম ধারে যদি আড়চোখে দেখো একবার ফেনভোজী—
আউশের দিনেও এসে তোমাকে সঙ্গ দিতে চেয়েছিলাম
সাক্ষী ধানের খেত, সেই সব তুঁতবন, লিপিকরা ‘শিবায়ন’…
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
কইতরপাড়া জমে হরেক প্রকার ধানে বাকবাকুম বাকবাকুম…
তুমি রোজ ডানা মেলে উড়ে যাও দূরে ধানের মিউজিকে,
রায়তের গান খুলে মাঠে–ঘাটে ফেটে পড়ো—মৌসুম মৌসুম!
এই ধান সেই ধান ফুটে ওঠে কত ধান তোমার শরীরে,
‘শূন্যপুরান’ হাতে ঘেঁটে যাই আজও সেই ধানগন্ধের পাঠে
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
বীজের রোপণ শেষে ফলের আশায় থির এই সব কৃষিপাড়া
বীরভূমে তুলা ওড়ে যেন কারও প্রেমে ভরে ফসলের গাদা
সকল ফুলে জোতদারি চোখ পড়ে রায়তের গোলা ভাঙা!
শুরু-মাঝ-শেষে চলে এভাবেই মৌমাছির রস শুষে নেওয়া…
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
সেই ইব্রাহিম হাঁটে সকল সৌরভ নিয়ে সেসব মাবুদ জানে
পৃথিবীর বুকে নামে খুশবু ছড়ানো গান, জমে ওঠে কৃষি—
বালুর আঁচলেও ফোটে বীজের কোরক পানি—ঝমঝম কূপ…
ফসলের খেতে নামে দরদের শিস, নবিমঞ্জিষ্ঠা, শস্যের সুখ…
আসে নব নব চাষা, পৃথিবী পেয়েছে ভাষা, ভাঙে জমিদার খিল…
রবিউল আউয়ালে বালু চিকচিক করে সানার হাতিরা আসে
আবাবিল নুড়ি ছাড়ে আবরাহা মাটি হয়, ঘোষণা ‘ইয়ামে ফিল’
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
জিরাফ হাঁটে মানুষের চোখের বাইরে, হাওয়া—বনেরা স্বাধীন…
ভ্রমর পায় স্বাধীন ভ্রমণ, অনায়েসে ফোটে চৈতালি–খারিফ ফুল
ভুট্টার সন্ধ্যায় ছড়িয়ে দিয়েছ পান, সেখানে লিখেছ কার নাম?
যে খেতে নীলের ঝিল ফোটে নীলকরি দাঁত—অতিথি পাখির হাঁক
সেখানে জামার তলে কী রকম দাগ জাগে স্ত্রীর লন্ঠনে রোজ!
হাসির ছায়ায় যত মীনের আসর দেখি ভানে ভরা তুমির ঘ্রাণ…
কিছু সূর্যোদয়ও জমে বরফের নমুনায় একদিন ধৃত আধুনিকে!
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
ছেঁড়া কামিজের ফাঁকে কখনো দেখেছি পাখি মাথা নেড়ে ডাকে
ঠিক যেন কচি কচি ধানের গমের শিষের মতন গোচারণে তুমি…
সারস মৃদুভাবে নামে সেসব জীর্ণ দেহের ঘরে যেন জুতাহীন দাস—
নদীর আড়ালে দেখি মাছহীন জলাধার—জংধরা গানের হাসি…
হাড় বেরিয়ে এলে রসহীন ক্ষেপণাস্ত্র ভেবে ইসরায়েল পালায়—
তোমার দেহ যেন শিকের জানালা—পেটহীন, ভাগে দাঁতাল বিট্রিশ…
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে…
সারা দিন খেঁটে খুঁটে এসে যদি পায় বটের ছায়ায় জল, তবে তুমি
হাজার গানের বিবি, আকাশের নদী, হৃদয়ের ঠিকঠাক বর্গাদার…
দেহাতি জেনেছে, হাজার রাজার ধনে পূর্ণ হৃদয়ে জেগেছে মৌসুম
সরিষার দানা যেন চাষির মুখের ঘাম—ফুটে ওঠে বিন্দু বিন্দু
পলকা হাঁসের ডানা পাখার লাহান নামে গোলাভরা অবসরে
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
বুকেতে গজায় টুপি, দিকে দিকে জমির আজান, ওড়ছে সারস—
পুরান সোয়ামি ফেলে নতুন সোয়ামি তুলে ভাতের মাতায় নামি!
চিনেছে ভূগোল সেই বাবর কেমন ছেলে লোদি খেয়ে ঘুম পাড়ে
তখনো প্রাণের কথা তরজমা করে পাওনি কোথায় ফলছে মহব্বত?
ফুলের তেরচা চোখে কুমির যখন নামে—দেখি, মানুষের দাঁত…
সহজ সাগর ফেলে পাথর বুনতে থাকে জীবনের খেতে খেতে!
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
জিইয়ে রেখেছ আজও সেই মুখের আদল মহাভারতের মাঠে
পানপাতায় নকল নামে সব শির একরোখা লোভী মাস্তুলে হাত!
কলেমার পাশে তুমি, বেদের ছায়ায় তুমি, বৌদ্ধের ধ্যানে তুমি
গানের আসর মেলে যত পর্নোস্টার যেন মোগল কৃষির জমি…
যে তাগিদে তাড়া দিলি পরিযায়ী চিলদের সেটাও আজ বাজ!
জায়গিরদার নেয় রায়তের গান এখনো দেখছি মশারা বেলাজ!
তবু ফুল ফোটে বনে, গান গায় পাখি, শান দেয় হৃদয়ে প্রেমিক…
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে!
জুতার লাহান ক্ষয়, ফুলের লাহান ঝরা—হালের গরুর সাথি…
এই পৃথিবীর হ্রদে গবাদিরা বেঁচে আছে পোষা মাছের লাহান!
তোমার হৃদয়ে ‘আমি’ তবু থেকে যেতে চাই পাহাড়ের নমুনায়,
মহাগ্রন্থের ন্যায়, সাগরের মতো, আদি বীজের লাহান!
মহব্বতি মিশনারি নিয়ে গাছের নিকট যাই, যাই নদীর নিকট
যাই যদি পশু মীন মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিবে কি সম-ফুল?
সকল প্রদেয় প্রেম মোগল তাকাবি—বুমেরাং হয়ে আসে…
গানের আমলা গান মিড়ের ফোয়ারা ছেড়ে হয়ে যায় জমি…
আর সমস্ত ঘূূণ উড়ে যাবে যদি এসে যাও যত মাতৃমৃগনাভী…
এই রাত এই দিন এক পথের পথিক হয়তো ভিন্ন রঙে রঙে,
ফুলের বাগানে নেই মন্ত্র শ্লোক ধর্মের বেত, ওখানে সৌরভ…
ভেঙে যায় রাজবেত, ভেঙে যায় নদীপাড়, ভাঙে না পিপাসা—
চরণেরা বয়ে যায় শির, শির খেয়ে যায় কাণ্ড মূলের রস…
আর পাটোয়ারি নিয়ে যায় নদীর খাজনা ভাতের খাজনা তুলে…
তুমি যত পানি ঢালো মূলে দাও প্রেম তত বাড়ে চাঁদা-হার!
এই মাছ এই নদী এই দাদনের চোখে নেমে দেখি তুমি ছিলে
সোনাভরা রায়তের ক্ষুধা, মোগল ঝরিলো ‘সুশীল’ আসিলো তবু—
এই ক্ষুধা জ¦লে যায় বর্গাশরীরে! হাজার চাষিনী চাষি যেন গাছ…
চরণেরা বয়ে যায় শির, শির খেয়ে যায় কাণ্ড মূলের রস…
আর কানুনগোদের আঙুলের ইশারায় মাঠের জীবন কেঁদে ওঠে!
চৌধুরীপাড়ায় দেখি—রুগ্ন গাভীর চোখে হাজার সালের নোনা
ভরা জমিদারপাড়া ঘোড়া গবাদীর খুরে চামড়ার কথা জানে না
হাড় বাজে রাতেদিনে সব কালে সব শিরে কৃতদাসেদের মতো
আজও তারা মাঠে পোড়ে চূড়ায় চামড়া দিয়ে প্রভুর তুষ্টি আনে…
চরণেরা বয়ে যায় শির, শির খেয়ে যায় কাণ্ড মূলের রস…
আর চালান দিয়েছে হৃদয়ের মহব্বত সে আমার জমিনের সখী…
চনার জীবন ঘেঁটে যা পাবে পাবে না কোথাও তেমন জৈবভূমি…
করুণ পাতার তীরে শ্রান্ত মীনের ঘুম, তবু নামে বাগানের ঘ্রাণ…
নৌকা দিতে থাকে অভিশাপের ফুঁ মাঝির হৃদয়ে দাসীর লাহান,
প্রতি ফসলের বির্সজনের দায় কে নিবে, নেবে মাটির প্রভু তুমি?
এখানে চরণেরা বয়ে যায় শির, শির খেয়ে যায় কাণ্ড, মূলের রস…
আর পাতার লাহান রেশমের কচি মুখ তখনো ফুটেছে ঘরে
পৃথুল বীজের গান জমে আছে হাওয়ায় সমস্ত ইতিহাস ফোটে…
চসর-পালক থেকে গ্রামের বানজারা যত সব ঘ্রাণ নিয়ে যায়
শুধু রেখে যায় ফুল, মাছ নিয়ে রেখে যায় খালি নদীর আঁতুড়!
ডিম ঘুরে ঘুরে ছোটে কোন পাথারের টানে মোগল ঘুমায় রথে!
এখানে চরণেরা বয়ে যায় শির, শির খেয়ে যায় কাণ্ড, মূলের রস…
আর নিছক ফলের সমূহ তাড়না নিয়ে কোন গাছ নুয়ে পড়ে
দুনিয়ার অভিনয়ে নামে এই সমস্ত নদী–পাখি–মাটির সংসার…
মাছের নদী, পাখি গাছ, মেষের মাঠ—কাকে দিচ্ছ রাজস্ব?
কার পাতে ঢেলে যায় ময়ূরের সম্ভ্রম,‘শান্তিযুদ্ধে’র মহারাজ?
মুকুট নিচ্ছে শিষ, কাণ্ড পাচ্ছে মাটি, চাবুক নিচ্ছে ঘোড়া…
ধর্মে–কর্মে আছে, রাষ্ট্রে–নষ্টে আছে—ফসলের পরিণতি
সমস্ত মসনদ যদি মহব্বতি ঘাসে ঢেকে যায় একদিন,
জায়গিরে নামে যদি ফুলসদৃশ বেশ্যা—আলছাড়া প্রেম…
রাজ্যে রাজ্যে, শিখরে–শিকড়ে, আকাশে–জমিনে তবে ফোটে
নদীর পৃথুল ডানা, ইলিশের আঁইশের আলো, শিশুদের হৃদয়…
মুকুট নিচ্ছে শিষ, কাণ্ড পাচ্ছে মাটি, চাবুক নিচ্ছে ঘোড়া…
লুকিয়ে রেখেছ কত লেজার পিদিম মাংসের ঘড়িতে চেপে
সেখানে হাতিশালা, নামে ‘টাউট হুজুর’ ভুয়া চান্দের আলো…
নদীর লাহান শুয়ে থাকার ইচ্ছা যার তাকে আমি গাছ ভাবি,
বিদেশিনী নেমেছিল সপ্তগ্রামের ডেকে তখন হয়তো কেউ
সমস্ত গানকর ছেড়ে জাহাজের পেট থেকে বিদেশ নামায়…
মুকুট নিচ্ছে শিষ, কাণ্ড পাচ্ছে মাটি, চাবুক নিচ্ছে ঘোড়া…
পানের পাতায় যদি ফুলের আবাদ চলে পিঁপড়ার নমুনায়
দেখতে পাইবে রোজ মানুষে-মানুষে এক সমযোজী বন্ধন…
চামড়ার ফসলের সাথে নগর গড়েছে খুব সুন্দর রিলেশান
মাবুদ না-জানা বীজ আনন্দে গড়ে তোলে নিজের সংসার…
ঝরাপাতাদের কষ্ট কেমন, জেনেছে কি ভান ঘড়িদের পা?
মুকুট নিচ্ছে শিষ, কাণ্ড পাচ্ছে মাটি, চাবুক নিচ্ছে ঘোড়া…
পথে ঘাটে বনে থাকা গানভরা ফুল যেন ‘মদৎ-ই-মায়েশ’
জিরাফি-বাঘের মনে নদীর লাহান বাজে মোগলের পরিণতি—
সংগীতি কৃষির ঘরে জেগে থাকে নবিভরা আয়াতের প্রেম,
জইফ হৃদয় দেখে একদিন আকাশের হরিণ-সরলে তেজ
জ্বলে এক মাতৃরূপ সমস্ত কুটিলতা ঢেকে খুলে যায় জট…
ফুল নয়, তারা নয়; যিশু নয়, শির নয়—এ জমিই আকাশ…
বাতাবি বনের পাশে নবি নিয়ে ফুটে যায় কারও ডাহুকি হৃদয়—
সেখানে ফুটছে পাখি, মায়ের লাহান গান খুশবুর মৌজা জুড়ে!
গমবনে নামে যদি রেফারির হুইসেল, প্যাঁচার তালুকে দিন,
সিন্ডিকেটের দাঁত তবু ভরে যায় জন্ডিসরঙে, কূট মহাজনে…
শিশুর হৃদয় দিয়ে দেখি রায়তের মুখ যেন ঝরাপাতাদের বুক—
মাটির কাছের নদী বয়ে যায় হাহাকারে, মাছও খাবি খায় তটে!
ফুল নয়, তারা নয়; যিশু নয়, শির নয়—এ জমিই আকাশ…
কবিতার শাল্মলি তারাদের বাগজুড়ে যা দিয়ে গড়ছি মালা…
কালো কালো পেশি পোড়ে ফসলের শিষ খায় বন্ধুর ভান!
এসো তুমি, এসো নুড়ি, মাটির দগ্ধ দেহ এসে দাঁড়াও সামনে
এই নাও থুতু, কাঁটা, এই নাও চাষামল, মাসেহে পাচ্ছ শান?
কালো কালো পেশি পোড়ে ফসলের শিষ খায় বন্ধুর ভান!
ফুল নয়, তারা নয়; যিশু নয়, শির নয়—এ জমিই আকাশ…
হৃদয়ে রাখালি নিয়ে নেমে যাই দূর মাঠে যেখানে বীজের শ্বাস
মানুষ-গরুর জিবে তুলে দিতে চায় কাঁটাভরা শাপের তবক…
সমস্ত জারজের পিতা—মাঠে মাঠে বীজ ছোড়া পাখিদের ঠোঁট
বেশ্যা ফুল আর বহুগামী ভ্রমরের ন্যায়, পথের মতন উদার…
ফুল নয়, তারা নয়; যিশু নয়, শির নয়—এ জমিই আকাশ…
পালের গরুর পরিচয় নিয়ে চলে যেতে চাই বনকাটি রাজে
যেখানে কৃষির ঘ্রাণ বোঝার ক্ষমতা রাখে সগোত্র জমিদার…
নদীর লাহান শুয়ে মানুষের হৃদে দেখি জায়নামাজের ঘাস…
এসো মহিষের শিং, এসো ছাগলের পাল, লাঙল জোয়াল—
তোমাদের পরিবারে নেমে আমি পেতে চাই—ফসলি নার্স…
টীকা
তাকাবি—তাকাবি শব্দটি সংস্কৃত ‘টাকা’ ও আরবি ‘কাভি’ শব্দের যুক্ত রূপ যার র্অথ শক্তি বা শক্তিশালী করা। মোগলরা এবং পরর্বতীকালে কোম্পানি সরকার দুস্থ রায়তদের চাষের সার্মথ্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আকালে ফেরতযোগ্য নগদ অর্থের অগ্রিম বা কৃষিঋণ বোঝাতে তাকাবি শব্দটি ব্যবহার করত।
ইয়ামে ফিল—মানে হস্তীর বৎসর। আরবরা মক্কাবাসী আর আবরাহার যুদ্ধে প্রথম হাতি দেখেছিলো তাই সেই বছরকে ইয়ামে ফিল বলা হয়।
আবরাহা—৫৭০ সালের ইয়েমেনের শাসনকর্তা। যিনি কাবা শরিফের আদলে তার নগর ‘সানা’য় মন্দির করে মানুষকে সেখানে তীর্থপূজা করতে বাধ্য করেছিলো। ফলে মক্কাবসীদের সাথে তার যুদ্ধ হয়। সে যুদ্ধে আবাবিল পাখির কংকর নিক্ষেপের মাধ্যমে তারা পরাজিত হয়।
বানজারা—মোগল আমলের এক শ্রেণির ব্যবসায়ী যাদের ওপর স্থলপথে গ্রামাঞ্চল থেকে বিভিন্ন দ্রব্য সংগ্রহ ও ব্যবসা বাণিজ্য চালাবার ভার ছিল।
চসর—গুটিপোকা। মোগল আমলে গুটিপোকার পালক ছিলো বেশ। তখন তাদেরকে চসর পালক বলা হতো।
খালিসা—মোগল সাম্রাজ্যের এমন সব অঞ্চল বা অংশ যেখান থেকে রাজস্ব সরাসরি সম্রাটের খাস তহবিলে জমা হতো।
সপ্তগ্রাম—চতুর্দশ শতকের ভারতের একটি বন্দরের নাম। তখন চট্টগ্রাম বন্দরও ছিল।
গানকর— ভারতের গোয়ায় গ্রামের প্রধানকে গানকর বলা হতো। সুশাসন সুবন্দোবস্ত ও কৃষি কাজের প্রসার করার জন্য তখন আদি বাসিন্দাদের গানকর বলা হতো। এরাই শাসনকর্তা ও কৃষক ছিল সমাজের।
মদৎ-ই-মায়েশ—ফারসি শব্দ যা দিয়ে নিষ্কর জমির উপভোগকারী দলকে বুঝায়। অর্থাৎ যে জমির কোনো কর বা খাজনা দিতে হয় না। এই শব্দটা মোগল আমলে বেশি ব্যবহৃত হতো।