কাকপ্রলাপ
নদীর মধ্যে ঢুকে পড়েছিল একটি দুপুর,
দিনশেষে এঁকেছিল জান্তব ঢেউ, মাছ ও সাঁকো
অন্ধ কবুতর সাক্ষ্য দিয়েছিল, সবই ভ্রান্ত! তবু—
সুরক্ষানীতি ভেঙে একটি জলজ সন্ধ্যা
স্বপ্ন দেখেছিল—
অনুষঙ্গের ভেতর ঢুকবে, তখন—
বিপ্লবের নদী ভেসে গিয়েছিল মৌন!
দুপুরের নদীঢেউ, মাছ ও সাঁকোর গল্প বেশ পুরনো
বহুকাল ধরে একটানা বেজে চলেছে!
এক রূপান্তরকামী পথে
এক রূপান্তরকামী পথে ছড়িয়ে পড়েছে
আমাদের চিন্তাখণ্ড; যার—
উজ্জ্বল রশ্মির তারতম্যে, ডুবে যাচ্ছে
বিলাসিতাময় দেহ!
অরণ্য ফলকে গুঁজে রাখা আয়ু থেকে—
লাফিয়ে নামছে আহ্লাদের প্রতিভাস;
অথচ, কারও মনে জাগছে না বিপরীত প্রশ্ন!
স্বপ্ন বিচ্ছুরিত প্রভায়,আমরা যেন—
তুমুল বিতর্ক লুকিয়ে রাখছি গোপন পকেটে,
আর নিজের ভেতর সমাধিস্থ হচ্ছি বারবার!
চারুসত্য
চৈতন্যে ফিরতে গিয়ে জড়িয়ে গেছি অশেষ
আন্তঃমিথষ্ক্রিয়ায়; দিনভর এঁকেছি মর্মর—পাতার পাতায়
চারুলেখ রঙ তার। পালতোলা নদীসুর
ঘুঙুর শব্দে নৃ-নাচ এঁকেছি তাও; এঁকেছি ত্রিবিধ;
যদিও, পাখিদের নামে রানওয়ে লেখা নেই কোনো!
নিঃসঙ্গ পাখিদের ঘরে বেজে ওঠে দ্বিপ্রহর;
সুমিষ্ট ফলের শুভ্রতা, আর—
ধাতব মুদ্রায় সহাস্য কংসমুখ
ওহে ভারপ্রাপ্ত! কতজন শোনে সেই বেহাগ?
এইভাবে,অর্ধসত্য হেঁটে গেলে গাণিতিক রেখা বরাবর
আমাদের নদীগুলো জুড়ে থাকে অসংখ্য শামুক;
প্রচ্ছন্ন হতে হতে খুলে দিয়ে—শরীরী পালক
বিভাজিত জীবনখানি, কতদূর যেতে পারে আর!