চলে যাচ্ছি
inside the dark wings of the bird
stirring the rain
listen
the sharp, short cry of ecstasy
begins
—John M. Lynch
মাছেরা আকাশচুম্বী!
আমি ফিরে যাচ্ছি
ভেঙে যাচ্ছে কুয়াশার ঘের।
সময়কে খনন করেছি কতকাল
বিশুদ্ধ নির্মাণ ভেঙে খুঁজেছি অনেক
অনুচ্চারিত শিল্পের ভিড়ে
অলৌকিক কোনো বেহুলার ঘাট।
মনে পড়ে
সাদা ডানায় ছড়ানো ঈশ্বরের ডাকে
একদিন চোখ তুলে দেখি
শরতের চিত্রল আকাশজুড়ে ত্রিকোণ মাছের ঘর
কিলবিলে
তাই দেখে ভেসে গেছে
পতনের বহুমুখী আনন্দ উজান
সেদিনও চিলের ডানায় ছিল
শিকারির ধূর্ত হাহাকার…
সেদিনও কেঁদেছিল কালো পাখিটির সুর
তাতে ভরা ছিল শব্দের আগুন
সে আগুন আমাকে থামাতে চায়
ফেরাতে ব্যাকুল আবাল্য জলের নিষিদ্ধ বুদ্বুদ
যার অজস্র আলাপে কতদিন ভেঙে গেছে ঘুম
দাঁড়িচিহ্নসহ দাঁড়ানো পথের পাশে
কতদিন কত ভাঁটফুল
দেখেছি নিঃশব্দে
ভেঙেছিল
মহুয়ার কষ্টের পাথর।
আমি চলে যাচ্ছি
কান্নারা বরফ হচ্ছে
আর বেদনা চিৎকার!
প্রতিচ্ছবি
কিছুটা অন্ধকারে আলো এসে দাঁড়ালো আজ!
রেললাইনের পাশে ছোট্ট ঘুমন্ত চাঁদ
চোখ খুলে বলে, আহা! কী যে ভিন্নতর এই জোছনার আকাশ।
হুইসেল বাজাতে বাজাতে থেমে গেলো একচিলতে ঘোর
একাকী ভৈরব পাল তুলে দিলো
বহুদূর ভেসে গেলো সিলভিয়া প্লাথ।
মধ্যরাতে মিহিসুর, আশাবরী রাগ
জলেপুড়ে ছাই হলো প্রিয় রুবাইয়াৎ,
আলো হেসে বলে, আহা কী যে ছিল একদিন!
কোথায় গেলো তোমাদের সেই নম্রস্বভাব?
আশঙ্কা
জানালাগুলো বন্ধ, দরোজাও
ভেতরে গুমোট!
নীলগিরি থেকে ভেসে আসা স্বরে বিদ্ধ হলো একাকী দর্পণ
ঢেউ ভাঙে, ঢেউ খেলে
হঠাৎ সূর্যটাও লোপাট;
চন্দ্রাবতীর ক্ষোভে রামায়ণ পাল্টালেও
ভেতরের গুমোট আরও রুক্ষ, ঝনঝন
যেন সে তীব্র বিনাশী ক্ষুর
গভীরে আঁচড় কাটে
রক্তপাতহীন।
দরোজাটা বন্ধ, জানালাও
কার্নিশের পেয়ালায় ঠোঁট রেখে পাখিগুলো স্থির
চোখ রাখে চন্দ্রাবতীর চোখে
আশঙ্কায় কাঁপে..
কাল হবে তো সূর্যোদয়?