চর ভাদুর চরে
পাখিরা, অন্নধান ছিঁটিয়ে এখানেই ডানা খুলে বসে,
জবর খালের পুল থেকে শোনাযায় এই অবিমিশ্র
ভুতুম-সুর।
প্রতিদিন এখানে ভিখু-জন্ম হয়।মাঝেমাঝে কান্না ও জরায়ুর চিৎকারে
কেঁপে ওঠে জংলি খালের ক্ষুধা। চর-দখলীরাও বৃত্ত গুনে গুনে
কিছু না-কিছু ভাঙা পা, রক্তচূর্ণ হাত ও হৃদয় খাওয়ার গল্প শেনায়।
প্রতি সকালেই সুবহে সাদেক-ভাঙা রুহু আর রিজিকে খুলে যায়,
দখলিপনার নতুন বৃত্তান্ত।
প্রোটিন বাহাদুর
সাপ। পৃথিবীর অপ্রতিরোধ্য শক্তিশালী প্রোটিন তারাও শরীরে গেঁথে নিয়েছে;
তুমিও কাগজে-মগজে ধরেছো বিষ, ক্ষতিকর মারণাস্ত্র।
পুরো পৃথিবীটাই এখন অবিষ্ফোরিত বোমা, দেখো তোমার লালা থেকে ঝরে পড়ছে শ্লেষ
প্রতিদিন খাও বনজপাতা, অবিমিশ্র পাহাড় জঙ্গল, পরিপার্শ্ব বাও-প্রেম—
এই অবেলা কুলঘাটে দাঁড়িয়ে আছি ভেষজ-স্রোতস্বতী।
শেয়াল বাহাদুর
এই শহরের তমিস্র রাতে ওলু ডাকছে বিপন্ন শিয়াল বাহাদুর।
আমি তো এখন নগর কুকুর, এই সব ধ্বনি-প্রতিধ্বনির আওয়াজ,
ধরায় না নতুন কোন মিথ, কিংবদন্তি ধ্যান
চালা ঘরে ফুটো মেরে চাঁদ দেখার সুযোগ কই?
আমি তো প্রকৃতি ছেড়ে কবেই ওঠেছি
হিংসাবাদের প্রজন্মে; সময়ের এই-উল্লুক ধরতে চাইছি,
নতুন করে ইতিহাস বানাতে চাইছি!
ধান
গাছের শরীর-ঘন আনন্দে ডুবে ছিলো পৃথিবীর শর্করা ধান—
নিজস্ব গন্ধ-কথার নিচে তুমিও খুলো ধন ধান্যের বান
বণিক ছন্দ যতো বাড়ে তত কমে উর্বরতা, নিজের নাম-পরিচয় থান।