মেঘের এত কাছে, তবু…
মেঘের গায়ে কুয়াশা-কারুকাজ
আঁকছে তোমার মুখের অবয়ব
এই পরানে নকশিকাঁথা আজ
সুচ বিঁধানো এফোঁড়-ওফোঁড় সব।
এই পাহাড়ে মেঘের এত কাছে
এসেও তবু যায় না ছোঁয়া আকাশ
এই পাহাড়ে নীলের এত কাছে
দেয় না ধরা তবু দ্বিধার ওপাশ।
ফিসফিসানি! নিয়মভাঙা কথার-
বাতাস এসে উস্কানি দেয় নাম
সন্ধ্যারা সব কাটতো যদি সাঁতার
ভাবনা হতেই চমকে দাঁড়ালাম।
ঘুড়ি
সেদিন সাকরাইন ছিলো
আমার আকাশ ছিলো
. তোমার বাহারি ঘুড়ির দখলে।
কুয়াশা ও ঘুড়ির ঘূর্ণায়মান লেজ
শুষে নিয়েছিলো
. আমার সবটুকু নীল—
গ্রামছাড়া হয়ে মেঘেরা অভিসম্পাত
করতে করতে পালিয়ে গিয়েছিলো;
সেই মহার্ঘ সময়টুকু পেরিয়ে গেলে—
আমরা একদিন অবুঝের মতন
হেসে-খেলে প্রবেশ করেছিলাম
মাঘের ভেতর—
কদম ফোটে
আমি না পারতে তোর শরণ লই, খুব গোপনে
ও আমার ফুস মন্তর গো-
ও আমার অষ্টমীর পুতলা
যখন আষাইঢ়া ঝিলে বিহান নামে
হাইঞ্জা উজান যায় হাওড়ের জলে
মনটা তখন আকুলি-বিকুলি করে, খুব গোপনে
ও আমার দোষের দুশমন
আমি না পারতে তোর শরণ লই গো।
কাঁচা ধানগুলাইন ঐ মাঠে শুকাই
অবুঝ গরুটারে লয়ে ধোয়াই ঘাটে
শাওন মাইস্যা কদম ফোটে মনে তখন,
দুই চোখে জমে কংস গাঙের জল, খুব গোপনে
ও আমার কপট পড়শী গো
ও আমার পাষাণ পরাইন্যা
আমি না পারতে তোর শরণ লই।
প্রেমিক
দমকা হাওয়া বইছে বিভোর করে
পাহাড়ি মেঘ ঝরছে জলের’পরে
পড়ছে কোথাও একটি দুটি বাজ
নির্বিকারেই হয়তো করছো কাজ
এসব ছাড়াও ভাবনা আমার ঢের-
জানতে চাই না কিছুই আমি এর।
কালিকা শুনে কাটছে অলস দুপুর
প্রেমিকার সাথে সন্ধ্যাগুলো মধুর
রাত ভোর হয় স্বপ্ন দেখার ঘুমে
জীবন তোমার সুখেরই মৌসুমে
এসব ছাড়াও ভাবনা আমার ঢের-
জানতে চাই না কিছুই আমি এর।