ঘুমন্ত অক্ষর জাগছে-১
পাহাড় বইয়ের পৃথিবী। বিষটোন এনে বলে এখানে পরোটা বানানোর
পদ্ধতি নেই। ইরাবতী নদীর কথা
ভাবি। বিস্বাদ মুখ আরও শুকনো
নো-ম্যানস ল্যান্ডে। ডেকে ওঠে টিয়াপাখি। খিল খুললেই খরস্রোতা
ঝরনা। নাম জানা নেই সে এক কবিতা
তাদের গাছের কাছে করাতের গান
হাবিস। সমতলে উড়ে যাচ্ছে যান ও জান। জানু পেতে বসেছি ফিরিয়ে দাও অরণ্যবাতাস
তাসের দান নরমভাবে পড়ে হারিয়ে দিচ্ছে প্রফুল্লের সাজানো
সম্পদ
ঘুমন্ত অক্ষর জাগছে-২
চাবি খুলে দিচ্ছে চোখের ধূসর তালা। লাশ হয়ে পড়ে আছে
মাধবীলতা সদর দরজায়। জায়গাটা অদ্ভুত নীরবতার গন্ধ
বাজাচ্ছে
ছেলেবেলার কু ঝিক ঝিক। কমে
আসছে ভীষণ দৃষ্টি। টিয়া রঙের ক্ষেত। তন্দ্রা ভাঙিয়ে বলছে নাও
ভেসে যাওয়ার আগে
গেম লুডো খেলছে নতুন বর
বউ মোবাইলে। লেখা উঠছে ট্রেনে।
নেশা এমন ফেসবুকের। বুকের
কাপড় সরে কালো পুঁট চোখ নষ্ট
দেয়
দেয়ালে লিখন ওঠে পথ কেটে গেছে পা বহুর পোষা বেড়াল
ঘুমন্ত অক্ষর জাগছে-৩
স্মৃতি বাজাই। ইমন কল্যাণ রাগে। গেছে যারা, তারা হয়ে তারা আসে।
সেজে ওঠে কথার দীপ ভেতরের
নির্জনে
নেহাতই ছোট ইতিহাস জীবনের। রঙবাজি ঢালো। লোকে উচ্চে বাঁধো। ধোঁয়া সরে গেলে ধ্যান জমে ওঠে
ঠেলে দিলে সরে যায় ভোগ। গমন
মাত্রা পেলে গভীর। রসের নাম সচ্চিদানন্দ। নন্দন হেসে ওঠে
হৃদয় শ্মশানের ধূমে
মেলা আলোর মাঝে আমি হারিয়ে
পড়ে আছে আলোকোজ্জ্বল শব আর তুমি দেবী