ঘন
: আমি কি আকাশের দিকে তাকাতে পারবো না আর?
: নিশ্চয়ই পারবেন, তবে একটি ঘন অন্ধকার রাত লাগবে
: বন্যার পানিরা রাতের নদীতে ফুসফুস করে, জানেন তো?
: জানি, আমি একবার ভরাজলে একটি বিড়ালকে ভাসতে দেখেছি
ছিটকে পড়ে দুজন দুর্ঘটনার মতো
চা বাগানের নির্জনে খুন হয় স্কুল ছাত্র
একটি তারা খসে পড়লে গরুর গাড়ি পথ হারায়
এরকম বেদনাহত সময় কাউকে খুব কাবু করে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক কী সারাদিন খোলা থাকে?
ব্লিডিংগুলো উঁচু স্তনের মতো তাকিয়ে থাকে বাতাবি লেবুর দিকে
আবারও—
: আপনি কি কখনো মার্বেল পাথরের রঙ দেখেছেন
: সময় বদলে গেছে—এত দ্রুত কিভাবে?
: দূরের দিকে তাকালে মনে হয়—ক্যান্সারের শরীর
: তাহলে কি নক্ষত্রেরা এবার নেমে আসবে?
হাত থেকে হাত সরে গেলে নামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.২
কথা
: আপনার ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ আছে?
: না, নেই
: তাহলে আপনি গোপন কথা কিভাবে বলেন?
: আমার তো কথা নেই
: কিন্তু আমি তো আপনাকে ভার্চুয়াল গ্যালারিতে চাই
ভাসানচরে ভাসছে মানুষের চোখ
সমুদ্র থেকে জেগে ওঠা দ্বীপগুলোতে থাকে না পাখি
একদিন বাতাসের পিঠে চড়ে দ্বীপ দেখার স্বপ্ন থাকুক
: রাতগুলো বেদনার হয়ে উঠছে
: আমি কার্বোহাইড্রেড স্পর্শ করি না
: আমার ঘুমগুলো বিছানায় পড়ে থাকে
: টিয়া পাখির ঠোঁট ছুঁয়ে দেখেছেন কি?
: অতীত ম্রিয়মান হলে বিকেলের কী দোষ?
এখন সন্ন্যাসীরা বটপাতার মর্ম বোঝে না
বৈশাখী মেলার স্মৃতিরা উড়ে গেছে মধ্যদুপুরে
হাত
একটি ঘর ভাসছে বন্যার জলে
এরকম সাধারণ কথা বলার জন্য আমরা আসিনি
কয়েকটি কাকভোর পড়ে আছে শুকনো উঠোনে
ঐ যে ঘরের কথা বললাম—সেটি কুড়িগ্রামের কথা বলে
মেয়েটি এসে বলে—
আমার বাবা ইলেক্ট্রিক শর্ট খেয়েছে
আমার জন্য কিছু করুন…
যুবক, মাইক্রোফোন হাতে বলে—
প্রিয় সুধী, মঙ্গা এলাকায় এসে আসুন
আমরা সুন্দরের চাষ করি—
নদী-ব্রিজে দেখেছি বুড়ি মা ভিক্ষা করছে
তারপর একদিন আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকা ছোট মেয়েটি
পত্রে জানায়—স্যার আমি কারমাইকেলে পড়ছি
আমার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বন্ধুরা—আমার পোশাকের দিকে
প্রতিদিন তাকিয়ে থাকে
অতপর খাকি খামে টাকা যায়
এভাবে বহুদিন
এরপর মেয়েটির আর খোঁজ জানে না কেউ…