গোলাপ
পাপ কি গোলাপ ফুলের মতো দেখতে
সুন্দর; শ্রী
আমাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে দাও
শুনেছি স্বর্গ হয় মানুষের
অথচ মানুষ আমার ভালো লাগে না
কই যাব আমি
এমন ফাল্গুন মাসের দুপুরে
গোলাপের দিকে তাকালে মায়ের মুখ মনে পড়ে
প্রজাপতি দেখলে বুঝি বাবা বাড়ি এলেন এই
গোলাপ কি কেবলই বাবাকে কেন্দ্র করে ফোটে?
ভাবি অতটা প্রতারক হয়ে কেন জন্মালাম আমি
আমাকে এমন যদি উড়তেই হবে গোলাপে গোলাপে।
সংগীত
কথাচূর্ণ ভাষায় কী বলো—
লটকন ফুলের মতো;
মুচকি হাসছে কর্পোরেট অফিসগুলো।
একটি প্রবীণ বৃক্ষে সাথে
যে পথ দুটির ঘুরে ঘুরে দেখা হলো
ডালিম ফুলের পাশে;
আমি জুতা হাতিয়ে বাড়ি এসেছি বারবার।
দ্যাখো—সমস্ত ঘূর্ণনে; কেমন
মেঘের মাদুলি বাজে নারকেল পাতায়।
বন্দুক
এই মেঘ মেদুরে কী সব লুকিয়ে রাখছ চুলের ভাঁজে তার দূরত্বে শুধু আমাকেই দেখা যায়। যেন ছোট্ট এক শিশু ভরাহাতে মার্বেল ছুড়ছে মাটিতে। এ সব কথা এখন মোরগফুলের মতোই লাল। আর সকালের সে নীরব কুয়াশা—যার চলে যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে মানুষের চোখ। যেন তারা নিঃসঙ্গ রাত্রির পাশে জেগে থাকা এক একটি জল পতনের শব্দ। বাতাসে তাল মিলিয়ে হাসছে প্রিজমের আলোয়। কী সুন্দর শরীর উঁচিয়ে ধরে হাঁটছ তুমি; যেন মাছদের শরীর আনন্দ মিশিয়ে দিচ্ছে ঢেউয়ে। আর বাতাসে বাজছে কার্পাস। কোন গাঁ থেকে এসেছ এমন সুরেলা অধীর। আহা এই দেখা কত সুন্দর! যেন বনের ভেতর মৃতপ্রায় এক তোতাপাখি। আহত কণ্ঠের তোরঙ্গে বসে নানা সুর মেলাচ্ছে। দ্যাখো, চিমনির ভেতর ভেঙে পড়া তার সমস্ত আলো—আলিফের আকার পেয়ে; দূরে, হিজল পাতার দোলায়—দুলে উঠছে! সে হাওয়ার বল্লম তোমার ওড়না দিয়ে আটকাও। আষাঢ়ের এই উন্মুখতা যেন এই আমাকেই ছুঁলো। অথচ আত্মহত্যার মতো ভয়ঙ্কর চিৎকারে—তেড়েফুঁড়ে; জটা চুলে আউলিয়ারা দল পাকাচ্ছে। আর বাতাসের ভেতর থেকে—গর্জে উঠছে প্রশ্নবিদ্ধ গুলির আওয়াজ।