মনস্তাপ
আপনি পড়বেন বলে
আর কবিতা লিখছি না।
ভাবা যায়? এমনটাও হয়?
সমস্যা কিছু গুপ্ত ছিল
অন্ধ পাঁচিল বরাবর
মুক্ত ছিল শুধু আমার মন।
আমরা দুজন বুড়িয়ে যাচ্ছি
শহরতলীর দুই প্রান্তে;
ভূমিকম্পেও কাঁপে না!
এই দুই সমান্তরাল
পথের মাঝের স্পেস গ্যাপ…
আমরা দুজন বুড়িয়ে যাবো;
চুমুক দেবো চায়ের কাপে একসাথে,
কানের পাশে মুঠোফোন রেখে;
আপনার জন্মদিনে পায়েস করবো না!
আমাদের দুজনের চুলে পাক ধরে যাবে,
কেউ কাউকে কোনো প্রশ্ন করবো না…
হোমাগ্নি
এভাবে চলতে পারে কেউ কেউ;
চাই তো আমিও,
মোনালিসার হাসি অনুসরণ করে
স্থির চিত্র হতে!
পারি না।
এক পা-দুই পা এগোনোর পরেই,
ভালোবাসা ভর করে ভূতের মতন!
কখনো দোভাষীর ছদ্মবেশে,
কখনো গুপ্তচর হয়ে
ঢুকে পড়ে কাঁটাতার পার করে।
শূন্যে ঝোলে বাটখারা
আয়ুরেখা বরাবর;
অশ্বমেধ যজ্ঞে তখন
আমারই ঘৃতাহুতি!
গুপ্ত প্রতিশোধ
হার মানতে মানতে একলা হয়ে গেছি
এই নরম নির্জন আধভেজা সন্ধ্যায়
স্থবিরতা এঁকে দেয় চাঁদের গায়ে কালশিটে
মোহনীয়া বাঁশি রবে কি নীরব?
বয়সের শিরাজুড়ে কাটাকুটি
কাটাকুটি রক্তে ও সিঁদুরে
কালবৈশাখীর দাপাদাপি শরীরে ও স্বেদে
স্বমেহনের আশকারায়
ভোর এসে উড়ে বসে
উড়ে বসে চোখের পাতায়;
চোখ, ঠোঁট, আঙ্গুল প্রত্যহ
ভাষা বদল করে মেঘের ছায়ায়
যেমন রাতকে ছেড়ে যায়
প্রতিটি সকালের আলো
গুপ্ত প্রতিশোধে, কানায় কানায়
আমাকেও হারাবে বলে
জেগে থাকে যার হাতঘড়ি
তাকেও যেন ছেড়ে যেতে পারি
প্রবল উল্লাসে না করে দরাদরি !