ফুলপাঠের পরে
ফুলের দিনগুলা বুনতে বুনতে এসেছি তোমার কালোয়
মুখে মাখো শুধুই অহম আর আকাশছোঁয়া দোষের টোনা
যতই বলো পারি না কথাটি—তুমি নগর ধাতব কুমার!
পরমাণু কুলে জ্বলছে বিকল্প পাথরের গান সই-মুখ
ওজন ফুটো করে আকাশে মারো তালা—নাই চাবি
অসহ্য দাহকে মেনে, মনে হলো সবকিছু ঠিকঠাক
ফুলের বন্দরে চেপে রাখা বরফে বাজেতম মনের থুক
ভরাট করে বানাও বিষ ই-বর্জ্যের ভয় নব সমতালে
নিভে গেছে আয়ুপাখি শুকে গেছে শান্ত পানির ঢেউ কাতার
ভাটির প্রতিটি পৃষ্ঠাজুড়ে আছে শত নদীর মায়া ও মোহ;
এই জ্বরা ও জ্বরে হই গুম, ক্ষয়খালি বিলে দেই সাঁতার
চলে গেছে দিন? যত সুন্দর দীর্ঘ আয়ুর রেখা দিলো টান
নব-ধ্যানের মূলে বানাতে হবে ঘর, দিতে হবে সবুজ রেখা
পেশীফুলে ধরাও যত আগুন, মুখের নোঙের দাও শান
আকাশেতে ছড়াও সুমন্দ-বকুল খুলে ফেলো অবুঝ পাখা
খিড়কি থেকে
পেছন ফুলের পথকে করেছ সাফ
আসা যাওয়াটা বাইন দুয়ার দিয়ে
বাড়ছে বয়স মনে লাগাও তালা
নসিব তুলার কর্ম হবে না মাফ!
বেশি কথার চোখা ধাওনি ফেলে
অতি বাহার পুডিং মারা ছাড়ো
নিজের ঘরের আলকাতরা গলে
নিজের পিতল মাটি খুলো আরও।
পৃথিবী বলে
একদিন পৃথিবী বলে, পড়শী চাঁদ
দিও না তোমার ঝাপসা জোছনা জুতি
বর্তমান উজ্জ্বল আমি তোমার ফাঁদ
শেষ হলো তোমার পূর্ণিমা দাও যতি!
নিত্য বাড়িতেছে রূপ-ঝলোকা যৌবন
সময় আসিছে তোমার মর্ম করিবো চুরি
ডানে বামে চতুর উন্নয়ন মৌবন
রণে বনে ধনে বাড়ছে আমার ঝুলি।