পাঁজর
অশ্বারোহীর বিকেল টগবগিয়ে নামে। এই সন্ধ্যাকাজল ধেয়ে যাবে নিশুতি শেওলার দিকে। আদিম পৃথিবীর ঘাসগুলো—তাদের পাঁজরের ঘ্রাণ—চেয়ে আছে বৃষ্টির চেয়ে মনযোগী বাসনায়।
প্রতিদিন চিহ্ন দিয়ে যাও রোদ। মাঝি ও জলের অতীতচারী মূল্যবোধ ভেসে উঠবে, ঢাকার গৃহিণীদের মতো, ফুলেফেঁপে। বয়স্ক চাঁদের নিকট কার শরীরের রোদ জ্যোৎস্না হয়, কার অন্তর্বাসে লুকিয়ে থাকে আমার পাঁজর?
বিষমুখ
এই যে বৃষ্টি হচ্ছে—ভালো লাগছে; কেন জানি মনসামঙ্গল পড়ে ভালো লাগছে; দেবী যেন ফনা তুলে পাশে বসে আছেন। বেহুলা নই—দেবী-লখিন্দর শয্যায় কেটেছে বহুরাত। বহুরাত আমার রক্তের ভেতর পুড়েছে খাণ্ডববন। প্রাণপণে পুড়েছি আমি; তুমিও ছিলে সেই আর্তনাদে।
আজ বৃষ্টি নেমেছে-নামিয়ে এনেছে তোমাকে। পাশে আছ—তোমার বিষমুখে আজ খুব সন্ধ্যা নামছে
ক্রীতদাস
তুমি আমাকে ক্রীতদাস বলে ডেকো। তখন পৃথিবীতে দারুণ বৃষ্টি নামবে। সেই যে পাখিগুলো উড়তে চেয়ে তোমার পায়ের কাছে মাথা ঠুকেছিলো, তাদের পালকের ঘ্রাণ আজ দুনিয়াব্যপী নতুন পারফিউমের রসায়ন হয়েছে।
তিনটি মেয়ে, রাতে ঘুমোতে গিয়ে স্বপ্নের ভেতর থেকে আর ফিরে আসেনি …
তুমি আমাকে নাম ধরে ডেকো না; অথবা টুকরো টুকরো মেঘের মতো আমার নামটিও বিশেষ্যগুণ হারিয়েছে। বাড়ির সামনে বেদেদের নৌকো, খাল ভর্তি শুদ্ধরমণ—গ্রামের মেয়েরা হতাশ হয়েছে। তাই মেঘ একদিন, রোদ আরেক দিন, শীত ও গ্রীষ্ম ঘুরে ফিরে দেখে গিয়েছে আমার উত্তরায়ণ!