তার কাছে গেলে
তার কাছে গেলে হিজলের ঘ্রাণ পাই—
রাত্রির শঙ্কায় নেমে আসে আদুরে বেড়াল
তার কাছে গিয়ে রোমহর্ষক গল্পেরা
জড়াজড়ি করে বসে থাকে
সে বিকেলের অবসরে খুলে দেয় বিস্তীর্ণ চুল
রক্তরঙিণ সেই শয্যার ভঙ্গিমা।
সেইদিকে চেয়ে অবিকল চুপ হয়ে থাকি
যেন কিছুই হয়নি—কোথাও ফোটেনি একটিও ফুল, একটিও বোমা
যেন মানুষের ভীড় থেকে হারিয়ে যায়নি হাতঘড়ি
অথবা কোথাও চলে যায়নি বিহঙ্গকুল।
সে এসে বসলে কাছে মনে হয় আলাপের কোনো শেষ নেই
খুলে দিলে সব বৈভব মনে হয় স্বয়ম্ভু সে—
চরাচরে কেউ নেই
কোনো জেনোসাইড নেই
সবই মৃদু মৃদু চুমু, মৃদুহাস্য তার।
কোনো শাশ্বত গান নেই
কিভাবে ঘুমের ঘোরে অন্ধকার নামে
আমরা জানি না—
বার বার জন্মাতে চেয়ে নীহারিকা মরে গেছে
আমাদের আদরে, শিহরণে
বেঁচে থাকে যারা, তাদের পরিচয় জানি কি?
আমরা জানি, বাতাসের ভারে সম্পর্ক ভাঙে
ভেঙে যায় কাঁচ—টুকরো টুকরো স্মৃতি
ফিরে আসে রাত, ঘনকামনা ফিরে আসবে কি?
এই পৃথিবীতে আর কোনো শাশ্বত গান নেই
তার প্রস্থান ধ্বনি ছাড়া
বারংবার আমি
বারংবার আমি উড়োজাহাজ হয়ে ভেঙে পড়ি
ভেঙে পড়ি মাঠে, শস্যে
ভেঙে পড়ি মাটিতে ও জলে।
আমার ডানা ভেঙে পড়ে, প্রপেলার চুরমার
এই শহরের কোনো অলস রাস্তায়