কুহরণকালে
দূরত্ব দেখো শত কোটি নিঃশ্বাসে, পথে, ধূলিকণায়
দূরত্ব দেখো শহরে শহরে, বন্দরে বন্দরে
আমি তো দেখি যে তারাটি
তোমার উদ্দেশে দেওয়া চুমুটি দেখে
বাতাসে আগুন ধরার আগেই লাল হয়ে গেল
তার মিটিমিটি চোখের পলক পড়ার আগেই
তুমি বললে, দেখো তারাটিকে আমি দেখছি
তুমিও দেখছো
কেবল আমরা আমাদের দেখতে পাচ্ছি না
তারার দূরত্বে রঙবদল হয়
শহরের দূরত্বেও
যখন নিঃশ্বাসের কাছাকাছি থাকো
তখন কি শুধু চুমুই মাখো?
বাতাস আগুন ঝরে আকাশে ছোটে তারা
আমার চুম্বন আজ তোমাকে না পেয়ে সজল বাস্তুহারা
দুই.
মিথ্যা পালকে লেগে ছিল
সত্যের উত্তরাধিকার
তুমি বললে, লেখো না তার
অসংখ্য শূন্যের ভেতরে দুলে ওঠার
উড়াল কাহিনি
তখন থেকে কালি ঝরে ঝরে
নিসর্গের ভেতরে
ধূলি সরে সরে
আড়াল করেছো
বাতাস বাহিনী
উড়াল বাতাসে
ভেসে ভেসে
যতই এসেছে
শূন্য সত্যের সিম্ফনি
পালক জড়িয়ে
হৃদয় মাড়িয়ে
বলেছো তুমি
আমি
কখনো আসিনি
তিন.
জলের অতলে এক প্রেমের জীবনী
ঢেউয়ের মাঝে তার তরুণ সিম্ফনি
কম্পনে বন্ধনে দোলে জলের পাহাড়
এই বুঝি নেমে আসে আঙুল তাহার
আঙুলে তাহার দোলে চোখের চাহনি
ইশারা জানায় তবে কখনো আসোনি
কেন তবে আজ এসেছ আবার
ভেঙে যায় দেখ জলের পাহাড়
এসো আজ উড়ি জলের পাহাড়ে
সফেদ জলের তরে আলোর আঁধারে
চার.
কবর থেকে উড়ে উঠছে পালক
পালক দেখে মুগ্ধ সে বালক
বলে, অঙ্কিত চিত্রে সে তো ছিল এক পাখি
চাঁদ বেচে দিয়ে মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে
পথের কাছে মহাপথ খুঁড়ে খুঁড়ে
সে আজ রাখি বন্ধনের রাখি
পাখি, তাকে আজ ডাকি
মগ্নতম ধ্যানে
রূপান্তরে আসে না সে
পালক ওড়ে না কখনো শূন্য গগনে
পাঁচ.
আঙুলে আঙুলে দেখো, দিলাম স্বাক্ষর
চোখে চোখে লেখা হলো আড়াই অক্ষর