কাশফুল দুলছে
শেষ রাতের কুয়াশাঘেরা শাঁসালো ভোরের আগে ময়ূরের মতো কেঁপে কেঁপে নিজেকে আবার খুলি—চারদিকে জলো বাতাসেরা হু-হু করে বয়ে যায়—মনে হয় যেন সারারাত পাতাভরা গাছের ভেতর ছিলো উদোম বৃষ্টিরা—সে কি রাত্রি, সে কি অন্ধকার—
তুমি জানো, আমার পিপাসা তবু নিজের শরীরে একা, সুদীর্ঘ বসন্ত ফেলে রেখে কেবল চেয়েছি একা হতে—তবু নখগুলো ডুবে থাকে অজানিত বাসনায়—আলাদা ভাষায়, তাদের জমাট স্বর কেবলই বাজে—
যেন পৃথিবীতে শরৎ ছেয়ে গেলে আকাশে আকাশে উদ্দীপনা রটে যায়—
আঘাতে
আকাশে ভাসছে চাঁদ—গাঢ় হলুদ
আলো ঘেঁষে শুয়ে আছে সব অসুখ।
ফাটলেরা বেড়ে যায়—
স্বচ্ছ হতাশায়—
রাত করি অপচয়—
শূন্যতায়—
যেন কিছু অনাহত জলজ ফুল।
তবু রাত পার হয় ধীর নেকাবে—
দিনগুলো বয়ে যায় নীল আঘাতে—
যেন কোনো কথা নেই
হেলে পড়া হাসি নেই
অভিনয় করে যাই
সামান্যই—
হাহাকার লেগে থাকে ঘন আড়ালে।
তোমার হাতের কাছে
তোমার চলার পথ অথবা সুবাস
অথবা হাতের কাছে ছায়া ফেলে ফেলে
হলুদ রোদের দিকে ভাসমান সব
পাখিদের মৃদুস্বর অথবা বিস্তার
যখন মাথার কাছে গাঢ় আভা রাখে—
যখনই একা একা অলোক মেঘেরা
তোমার নিকটে আসে—ঘোরলাগা বর্ষা
নরম জাদুর মতো কাঁপায় আমাকে—
যেন ধীর চক্রাকারে তখনই এক
বিচলিত হৃৎপিণ্ডে দীর্ঘস্থায়ী রাত
হটাৎ সরে সরে যায়—যেন ফালগুন
যেন জোৎস্না চারদিকে মধু রেখে রেখে
উঁচু নিচু পথগুলো পার হয়ে যায়—
যেন ভোর নুয়ে পড়ে মলয় বাতাসে—