দাগ
দাগে ভরে যাচ্ছে আমাদের কোমল নিঃশ্বাসের রেখা;
বিশ্বাসের ভিতু কাহিনি মানুষের মুখ থেকে মুখে
চকমকি তীরে একাকী হাঁটার কালে মেঘ বলেছিল,
ঝরব না আর, ভেসে যাব হাওয়ায়-হাওয়ায়
সেই থেকে আমিও ভেবেছি, শুধুই ভাসব হাওয়ায়
দখিন দুয়ারী কান্নার মোড়ক খুলে ভেঙে দেব
প্রজাপতি ঘুম, শুষে নেবো উপবাসী সুর।
উড়তে পারিনি আমি।
দ্বিতল বিন্যাসে গড়া স্থবির প্রপাতে আটকে আছি
যেন শ্যাওলা জড়ানো স্মৃতিগন্ধা হিম।
কালো বিষ
ছুরির ফলায় গেঁথে আছে চোখ
হাড়ের ভেতর অগ্নিধারা
অদৃশ্য কপাল জুড়ে অপেক্ষার শিরস্ত্রাণ।
মণি দু’টো শব্দহীন কান্নার ভেতর ডুবে যাওয়ার আগে
আমি অপেক্ষার শিরস্ত্রাণ খুলে ঘুরে আসি
জীবন খোয়ানো সেই মুহূর্তের পাড়ে
একদিন যেখানে তোমার কাঁধ ছুঁয়ে উড়িয়েছি
অজস্র বাতাস, মিলিয়েছি ঠোঁট, জিহ্বার করতল।
আজ প্রতি তিরস্কারে বাজালে যে সুর।
তাতে বৈকল্যের খরা, কালো বিষ।
চোখ দু’টো ছুরির ফলায়।
নাকের দু’পাশে আকাঙ্ক্ষার রক্তদাগ।
অপূর্ণতা
উপলক্ষ নেই।
তবু আসো, কাছে বসো
দক্ষিণ দিগন্ত বাঁকে যে কথারা হারিয়েছে সেই কবে
সেসব বিষণ্নতার ঘ্রাণ ছুঁয়ে
থাকো পাশে।
ঘোর নেই
নেই ছিন্নতার রেশ
শুধু মুখোমুখি নিঃশ্বাসের ঢাক
যার বাহুমূলে চাপা পড়ে আছে
বহুদিন ধরে জমে থাকা
আমাদের আজন্ম তিয়াস।