দহন
আমি একটি করাতকলের পাশে বসে আছি।
এইপাশে নগ্ন ঘরে ছড়ানো টেবিল—
একটুকরো আপেল উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
আমি আপেলের পুরুষ্টু আঙুলে জিভ ছোঁয়ালাম।
তার রক্তনালীগুলো মিহি দানার মতো ফেটে পড়ছে।
অসংখ্য লাল বিন্দু দাঁতের ভেতর জড়িয়ে যাচ্ছে
আর আমার ইন্দ্রিয়গুলো রূপান্তরিত হচ্ছে অখণ্ড করাতকলে।
কালবেলা
দূরে অসমতল ভূমিরেখায় শুয়ে আছে চাঁদ।
একটি চঞ্চুহীন পাখি
পৃথিবীর মধ্যপথ থেকে সরে যাচ্ছে…
আমরা মূলত রক্তবীজের ভেতর বাস করি।
একটি বৃত্তাকার চোখ তাকিয়ে আছে আরেকটি চতুষ্কোণ চোখের দিকে,
আর অসম্পূর্ণ যোনীর ভেতর থেকে উঠে আসছে ক্রন্দনরত সাপ।
মধ্যবর্তী
কনিষ্ঠ আঙুল ধরে হেঁটে যাচ্ছি,
পথের আড়ালে পড়ে আছে দীর্ঘ পথ
জন্মান্ধ সময় আর ধূসর রোদ্দুর।
মধ্যবর্তী একটি প্রাচীন স্রোত
প্রবাহিত হচ্ছে শীর্ণ সমতটে,
তার ছড়ানো পাপড়ি থেকে
খসে যাচ্ছে ঋতুমতী নদী…
কনিষ্ঠ আঙুল ধরে হেঁটে যাচ্ছি,
পেছনে গড়িয়ে যাচ্ছে ঘুমঘর
মায়া-মগ্ন সাপ আর নিদ্রিত দুপুর।
কনিষ্ঠ আঙুল ধরে হেঁটে যেতে যেতে
প্রলম্বিত একটি ক্রন্দন
নুয়ে পড়েছে দীর্ঘশ্বাসের পাশে,
আর অকস্মাৎ আমি ঘুমিয়ে পড়েছি
ছড়ানো একটি দিঘির ভেতর।