কারুমুখের এসরাজ
মধ্যগাছের পথ ধরে আঙুল নড়ে—বিপুল শিহরণ ঝরে যায় যেন মরা ফুলের পাপড়ির বৃষ্টিতে ঢাকা পড়ে কারুমুখের এসরাজ…তবু মিথুন থেমে গেলে করাতকল ঝিমিয়ে পড়ে, আমরা সংসারে শিথিল গানের আসর সাজাই…ফলিতজ্যোতিষ কাঁধে নিয়ে কারা ঘুরে বেড়ায় এমন কাঠমর্মর দিনে? তবে কি মানুষ আকাশ ও নদীর গোপন পাঠ শিখেছে, জেনেছে ইশারালিপির অন্তঃস্থ কথার সুর ও স্বর?
মালবৈদ্য, তোমাকে সাপই টিকিয়ে রেখেছে এ অরণ্যসংসারে, তুমি সর্পবিষের ওপর দাঁড়িয়ে নিজের অভিজ্ঞান জাহির করছ…কিন্তু শিরা-উপশিরায় রক্তনালিকায় বিষের স্রোত নিয়ে মানুষ কি পেরেছে সংসার সাজাতে যেমন করে বিপুল বিষ হৃদয়ে ধরে সংসার করে সাপের বংশধর…?
কারুমুখের এসরাজ যেভাবে ফুটে ওঠে মধ্যরাতের হার্মোনিয়াম ও তবলার বাদ্যে, সেভাবে ফুলও ফোটে না অরণ্যমর্মরে কোনোদিন…তবু নদীর ফেনাসমেত একটি বন্দর জেগে রয় অবিরাম মালবাহী জাহাজের অপেক্ষায়…!
ডাক
অথচ তামাম দূর্বায় সাদা বক—
জন্মে থির ভাবনায় ঘুমায় মোষ…
নবান্ন পার হওয়ার আগেই তারা
সন্ধ্যার তিমি ফেলে সমুদ্রে রোজ…
সিংহীর দেরেগ মাপে না মহিষ
দস্তখত দিতে জানে দাজ্জালও…
চূড়ার খরসানি কাঁপায় খরগোশ
বিপুল তামার রাত বোনে রাবিশ…
তবু নাগরিক সেজদায় অভ্যস্ত
শিরগামী কেবিনেট বেশ্যাকাঁচুলি…
পরিত্যক্ত কড়মার কথা ভাবে না
গিন্নির ডাকে কর্পোরেট বুনছি!
তামাক ফুলে বিশ্রুত বিষুব ঘ্রাণ
মালতিলতার ঝাড়ে বিষদাঁত নড়ে
তেজস্বীতুনের তুরুপ চালায় ডাকে
বিপুল ঘেন্নামতো সালিশের রাত…
হুডখোলা মেয়ে
না, যায় না তারা, পৃথুল রহমে…
হুড খোলা মেয়ের অশোকসুর
ঝরে যায় ওখানে…
প্রাধ্যক্ষের মেয়েও পায়ের ধুলায়
কখনো ছড়িয়ে যায়—
বিপুল চাতুর্য মাছের সংসারে…
পাদ্রি কিংবা ইমামের উত্তরও
কখনো ছড়ায় প্রেমের ভানজাল—
কখনো ছড়ায় বুকের সুরভি
আলোয় আঁধারের আঙিনায়…