০১
তোমাকে ছুঁয়ে দিয়ে বুঝলাম, প্রেমময় আমি, পূণ্যের যথার্থ মানব।
আবারও এসো; মনে পড়ছে অনেক কথা; গাছের আঁচলে বসে আছে নামহীন পাখি।
নদীর বুকের ভেতর অস্থির আকাশ; কুমারী মেঘের স্তন থেকে ঝরে পড়ছে শিশির।
চিরায়ত এইসব ছবি; আমিও মরে যাব একদিন, কোনো এক চিরায়ত নাস্তিকের মতো।
০২
সুতো বাঁধা ঝুলন্ত আপেলের মতো, তোমাকে কামনা করি।
শিশিরের জলের নিচে ডুবে থাকাজল
বুকের পালক মেলে ছুঁয়ে দেখি তোমার বেদনা।
বুকের গহীনে বিরহ নক্ষত্র জ্বলে; স্পর্শের অভিজ্ঞান।
০৩
ফরেস্টের ভেতর থেকে ভেসে আসছে, কামগন্ধ। দিগন্তব্যাপী।
সরিষা ফুলের মতো মর্মভেদী। আদিম ও মাংসভুক।
তোমাকে দেখতে পাচ্ছি আমি। আমার ভেতর। আমিময়।
এগিয়ে আসছে আষাঢ়।
বৃষ্টিজলে উপবাস ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছি আমি, তোমার দিকে।
০৪
আকাশের মই বেয়ে নেমে আসছে বর্ষা
ভোরের যৌনতা ধুয়ে যাচ্ছে ভোরের বর্ষণে।
জোছনাদের দিঘিতে আধফোটা পদ্ম
চন্দ্র তাপের নিচে পুড়ে যাচ্ছে জোনাকি ও
প্রজাপতির ডানা।
০৫
তোমার ঠোঁটে সরিষা ফুলের জাদু, কমলার ঘ্রাণ
জিহ্বার উষ্ণতা, গণিতের সংখ্যাহীন স্পর্শ।
সেন্টমার্টিনের প্রবালপাথরে রাত জাগছি
গাইড মেয়েটি ঘুমিয়ে আছে পাশে।
০৬
চাঁদের নিচে কাঁপছে ডালিম
ডালিম দানার ভেতর লুকিয়ে আছে কাম।
ভোর রাতের স্বপ্নসত্য জেনে
রুমালে বেঁধেছি আমি, পেকে ওঠা ডালিম।